একটা প্রচন্ড ঝাঁকুনি, তারপরেই অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফিরতেই দেখেন ট্রেনের ফ্যানে পা আটকে গিয়েছে, এদিক ওদিক অনেকজন চাপা পড়ে রয়েছেন। পাশের সহযাত্রীটিও মাত্রা গিয়েছেন। এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার সাক্ষী উনিশ বছরের স্মৃতি।
বাঁকুড়া জেলার ছাতনার অন্তর্গত আড়রা গ্রামের বাসিন্দা স্মৃতি মণ্ডল। বছর উনিশের স্মৃতি নার্সিংয়ের ছাত্রী। বিশাখাপত্তনমে নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করেন তিনি। দুর্ঘটনার দিন করমন্ডল এক্সপ্রেসে বিশাখাপত্তনমে যাচ্ছিলেন। আর সেই সময়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি।
স্মৃতি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বটে। কিন্তু ভয়াবহতা এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। শনিবার বিকেলে বাড়ি ফিরেছেন। রবিবার সকালে চিকিৎসার জন্য ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর চিকিৎসার জন্য ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয় তাঁকে নিয়ে।