সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্য়ুতে লেগে গেল রাজনীতির রং। নাম না করে এই ঘটনায় বিজেপির থেকে জবাবদিহি চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এই দাবিকে আমল দিতে নারাজ রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই হেফাজতে লালনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও লালনের মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্য়ে আসতেই নাম না করে সোমবার বিজেপির দিকে বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। গত কয়েকদিন ধরেই ১২ ডিসেম্বর নিয়ে নানা দাবি করে এসেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কুণালের প্রশ্ন, শুভেন্দু ১২ ডিসেম্বর নিয়ে যা মন্তব্য করেছিলেন, তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ আছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা উচিত। কুণালের এই প্রশ্নকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি করেছে রাজনৈতিক মহল। একইসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, এতদিন যাঁরা কথায় কথায় পুলিশ নিয়ে কথা বলতেন, তাঁদের এবার সিবিআই নিয়েও জবাব দিতে হবে।
এদিকে বীরভূমের সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাম ও কংগ্রেসও। বীরভূম জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বেলা পৌঁনে পাঁচটা নাগাদ লালন শেখের মৃত্যুর খবর প্রথম সিবিআই থেকে জানানো হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর তার পরিবারের লোকেরা খুনের অভিযোগ করেছে।
এই বছরের ২১ মার্চ বীরভূমের বগটুইয়ের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। এই মাসের গোড়ায় তাকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। রামপুরহাট আদালতেও পেশ করা হয়েছিল। লালনকে ছয় দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ে দাবি, সোমবার সকালেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনও সব ঠিকই ছিল।