নেপালের বন্যায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা। সামনেই দুর্গাপুজো। উৎসবের আবহে বন্যার্ত মানুষদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। রবিবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করে প্রশাসনের সর্বস্তরে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন তিনি। কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই আগে বিবেচ্য়, তা বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একদিকে পুজো, অন্য দিকে বন্যার ফাঁড়া। প্রতি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে থাকতে হবে। পুজো বলে বন্যা ত্রাণের কাজে মানুষের পাশ থেকে সরে গেলে হবে না। এটিও একটি সেবা। বন্যাত্রাণে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।"
কৃষকদের ফসলের ক্ষতির কথা মাথায় রেখে বাংলার শস্যবিমায় আবেদনের মেয়াদকালও বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবছর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যায়। এবার তা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি থামলেই শস্যবিমার আওতায় থাকা টাকা দেওয়া হবে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলার প্রতি অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার ও ডিভিসিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের অধীনে। ফরাক্কা বাঁধে আরও জল জমা রাখতে পারত। সেই কারণে বিহারও ডোবে, বাংলাও ডোবে। ড্রেজিং করা হলে আরও ৪ লক্ষ কিউসেক জল ধারণ করতে পারত বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।