উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল রাজ্যের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর(Paresh Adhikary)। বিধায়কের মেয়ে কীভাবে চাকরি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Advocate Abhijit Ganguly)।মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই(CBI) কর্তাদের সামনে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে হাজিরা দিতে বলেছে আদালত।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিসে কমিশনের(SSC Teacher Recruitment Contro) মেধা তালিকাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল, স্কুল সার্ভিসে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পিডিএফ ফরম্যাটে মেধা তালিকা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। কোচবিহারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি তালিকা প্রকাশ করেছিল। তফসিলি জাতিভুক্তদের জন্য মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে প্রথম স্থানে নাম ছিল ববিতা বর্মনের। ববিতা বর্মনের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল লোপামুদ্রা মণ্ডল ও ছায়া রায়ের নাম।
আরও পড়ুন- Anis Khan Death Case : আনিস খুনের তদন্তে আদালতে পুলিশকেই দুষল রাজ্য
অথচ পরবর্তীতে এসএসসির(School Service Commission) ওয়েবসাইটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের ওয়েট লিস্টে দেখা যায় ববিতার নাম চলে গিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে রয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। উল্লেখযোগ্য হল, এক দিন আগে পর্যন্ত তালিকায় নামই ছিল না অঙ্কিতার। এখান থেকেই সন্দেহ তৈরি হয় চকরিপ্রার্থীদের মনে। পরবর্তীতে তালিকায় নাম থাকা চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের সময়েও অঙ্কিতাকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। এর কিছুদিন পর মেখলিগঞ্জে(Mekhligaunj) তাঁর বাড়ির পাশের স্কুলে কাজে যোগ দেন অঙ্কিতা।
২০১৮ সালের অগস্ট মাসের শেষে তপসিয়ায় তৃণমূল(TMC) ভবনে মহাসচিব, তথা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chatterjee) হাত ধরে তৃণমূলে(TMC) যোগ দেন পরেশ অধিকারী। যোগদানের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের ‘ওয়েট লিস্টে’ নাম উঠেছিল তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। ওই ব্যাপারে কোনও জবাব দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন(WBSSC)।