৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাত এগারোটায় CBI দফতর থেকে বেরোতে দেখা গেল এসএসসি এর উপদেষ্টা কমিটির চার প্রাক্তন সদস্যকে। সোমবার সন্ধ্যেয় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানেই সিবিআই -এর ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েন তাঁরা।
এই চারজনের মধ্যে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর আপ্তসহায়ক এবং ওএসডি। সুকান্ত আচার্য, প্রবীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন শিক্ষা দফতরের তৎকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক সরকার এবং শিক্ষা দফতরের আরেক আধিকারিক তাপস পাঁজা।
স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Group D Recruitment) উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) কাছে নিয়ে যেতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।
আরো পড়ুন, Bengali Medium controversy: বাংলা মিডিয়াম 'ভাল' না 'খারাপ', বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
সোমবার দুপুরেই ওই চার সদস্যকে সিবিআই-এর কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। নির্দেশ ছিল, সুকান্ত এবং প্রবীরকুমারকে দুপুর ২টোর মধ্যে সিবিআই-এর যেতে হবে। তাঁদের নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে। দুপুর ৩টের মধ্যে হাজির হওয়ার কথা ছিল অলোককুমার ও তাপসের। তাঁদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার ভার দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল)-কে। ওই নির্দেশের চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চেও মামলা করা হয়েছে। কিন্তু ওই মামলায় এখনও কোনও রায় না আসায় চার জনকে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতেই হল।
স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এর আগে কমিশনের প্রাক্তন উপদেস্তা শান্তি প্রসাদ সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তবে তার- জিজ্ঞাসাবাদে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ মিললেও এই চারজনের জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কিছু মেলেনি। ফলে সিবিআই এর মুখোমুখি হতেই হল তাঁদের। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর রাত ১১ টায় নিজাম প্যালেস থেকে বেরোতে দেখা গেল তাঁদের।
গত সপ্তাহে হাই কোর্টের নির্দেশে রাত ১১টায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন শান্তিপ্রসাদ। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে জেরা সিবিআই যা জানতে পেরেছে, তা মিলিয়ে দেখতেই চার জনকে আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়েছিল। শান্তিপ্রসাদকে জেরার পর শুক্রবার এই চার জনকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা হাজির হননি।