পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য বা জীবনকৃষ্ণ সাহা, এই তিনজনের ক্ষেত্রেই একই পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই। তিনজনকেই কমবেশি টানা জেরার পর গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। কিন্তু আরও একটা বিষয়ে এই তিন বিধায়কের ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। পার্থ-মানিক-জীবনকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে বিধানসভার স্পিকারকে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা ভোটের পর মদন মিত্র-ফিরহাদ হাকিম-শোভন চট্টোপাধ্যায়-সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও কিছু জানতে পারেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ স্পিকার সিবিআই-ইডি আধিকারিকদের বিধানসভায় হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি। তবে একপ্রস্থ চিঠি চালাচালির পর আর কোনও আধিকারিকই বিধানসভায় আসেননি।
কিন্তু দেশের আইন বলছে, কোনও লোকসভা বা রাজ্যসভার সাংসদ বা বিধায়ককে গ্রেফতার করতে গেলে রাজ্য পুলিশ বা কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থাকে বিধানসভার অনুমতি নিতে হয় না। কিন্তু লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং বিধানসভার স্পিকারকে এই গ্রেফতারের বিষয়ে অবগত করতে হয়। গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই লিখিত আকারে গ্রেফতারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবালয়কে জানানো বাধ্যতামূলক বিষয়।
আরও পড়ুন- Recruitment Scam: “পুকুরে ফোন ফেলে দিলেন কেন?”, নিজাম প্যালেসে নামতেই জীবনকে ছেঁকে ধরল ক্যামেরা-বুম