RG কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার OC অভিজিৎ মণ্ডলকে। সেই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্য়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই দুজনকে জেরা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তাঁদের জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে।
খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেফতার করা হয় টালা থানার OC অভিজিৎ মণ্ডলকে। আগেই অবশ্য আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে। তবে শনিবার খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
CBI সূত্রে খবর, গ্রেফতার করার আগে প্রায় ৮ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিজিৎ মণ্ডলকে। সেইসময় তাঁর বয়ানে অসংগতি মেলে। আর তারপরেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, CBI আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন সকাল ১০টা ০৩ নাগাদ প্রথম খবর দেওয়া হয় অভিজিৎ মণ্ডলকে। কিন্তু তিনি বেলা ১১টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন। টালা থানা থেকে RG কর হাসপাতালের দূরত্ব ১ কিমির কিছুটা বেশি। প্রশ্ন উঠছে, এত কম দূরত্ব যেতে কেন ৫৭ মিনিট সময় লাগল? এখন সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
তৃতীয়ত, সূত্রের খবর তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, দেহ উদ্ধার করার আগে একাধিকবার অভিজিৎ মণ্ডলকে ফোন করেন সন্দীপ ঘোষ। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাও হয়।
অন্যদিকে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বয়ানে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে তাঁরা দুজনেই কি সঠিক তথ্য দিচ্ছেন নাকি কোনও মিথ্যা তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের ভুল পথে পরিচালিত করতে চাইছেন। আর সেই কারণে তদন্তকারীরা ওই দুজনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছেন। তাঁদের আশা, এরপরেই বিভ্রান্তি অনেকটা দূর হবে। এবং তদন্তের গতি পারে। পাশাপাশি পুরো ঘটনার চক্রান্তে আর কেউ জড়িত রয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য তাঁদের বি আর সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।