রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের ভোটে কারচুপির অভিযোগ। ভোটের নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাউন্সিল ভোটের শুরু থেকেই শাসকদলের ঘনিষ্ঠ সংগঠনের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। এরপরেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বেশকিছু চিকিৎসক। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ হাইকোর্টের। তবে তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের দাবি, হার নিশ্চিত বুঝে গিয়েই বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগে ভোট বানচাল করতে চাইছেন।
ভোটের দিন চিকিৎসকদের ছ’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ অভিযোগ জানিয়েছিল, ছাপ্পা দিতে আসা এক ইন্টার্নকে ধরেও ফেলেন তাঁদের প্রার্থীরা। বিরোধী প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, ইন্টার্নদের এই ভোটে ভোটাধিকার থাকে না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে একগুচ্ছ ব্যালট নিয়ে ওই ছাত্রটি জমা দিতে এলেন, প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী মঞ্চের চিকিৎসকরা। সেদিনই এই ঘটনার ভিডিও তুলে ধরে চিকিৎসক বিষাণ বসু সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'দুপুর থেকে মেডিকেল কাউন্সিল অফিসে রয়েছি। মাঝেমধ্যে এক-দুজন আসছেন। ব্যালট জমা দিচ্ছেন ড্রপবক্সে। এরকমই চলছিল। আচমকা পটবদল। জনাকয়েক অল্পবয়সী ছেলে, ডাক্তারি ছাত্র নাকি ইন্টার্ন বলা মুশকিল, হাজির হলো। চালচলন বা মুখের ভাষা কিংবা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কোনোটিই চিকিৎসক-সুলভ বা হবু চিকিৎসকের মতো নয় - মানে, এঁরা যদি ভাবীকালের ডাক্তার হন, তাহলে সবারই বরাতে দুর্ভোগ আছে, এটুকু বলা যেতেই পারে।' অন্যদিকে, আরেক চিকিৎসক তাপস বিশ্বাসের অভিযোগ ছিল, বহিরাগতরা এসে ব্যাপক হারে ছাপ্পা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও তুলে ধরেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- WB Medical Council Election 2022: বুধবার ভোট গণনা, তার আগে রাত জেগে ব্যালট পাহারা বিরোধী চিকিৎসকদের
রাজনৈতিক মহলের দাবি, ফল ঘোষণায় স্থগিতাদেশ না দিলে আগামিদিনে আদালতের এই নির্দেশের উপর ফলাফলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। উল্লেখ্য, মেডিক্যাল কাউন্সিল ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের গণনা প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরোধীরা।