দেশের জন্য কাজ করবেন । দেশকে রক্ষার দায়িত্বে সামিল হবেন তিনিও । স্বপ্ন দেখেছিলেন । পাঁচ বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে স্বপ্নপূরণও হয় তাঁর । কিন্তু, দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হলেন দার্জিলিঙের যুবক তথা ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা । সোমবারই জম্মুতে জঙ্গির সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি । মঙ্গল সেই খবর এসে পৌঁছেছে দার্জিলিঙের লেবং-এর বাড়িতে । বাড়িজুড়ে এক অদ্ভুত শূন্যতা । ছেলে আর ফিরবে না । সেই হাসি মুখটা আর দেখা হবে না । শোকে পাথর ব্রিজেশের বাবা-মা । তবে, ব্রিজেশের বাবা জানিয়েছেন, দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন ব্রিজেশ । তাই কোনও আক্ষেপ নেই ।
সোমবার জম্মুর ডোডা জেলার দেশা জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলাকালীন জঙ্গি ও সেনার দুই পক্ষের লড়াইয়ে জখম হন বেশ কয়েকজন সেনা । তাঁর মধ্যে ছিলেন ব্রিজেশও । জঙ্গির গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর শরীর । হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলেও, শেষ রক্ষা হয়নি । বুধবার ব্রিজেশের দেহ বিশেষ বিমানে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হবে । এরপর বাগডোগরা সেনা ছাউনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হবে । সেখান থেকে ব্রিজেশের দেহ সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হবে লেবংয়ের বাড়িতে ।
ব্রিজেশের সেনায় আসার অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা । সেনাবাহিনীতে ছিলেন ভুবনেশ থাপা । তাই, বাবার চাকরি সূত্রে বেশিদিন দার্জিলিঙে কাটাতে পারেননি ব্রিজেশ । তবে, সেনার প্রতি একটা আলাদাই টান ছিল ছেলের, এমনটাই জানাচ্ছেন ভুবনেশ । স্কুল জীবন শেষে পর মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন । সেখান থেকে বি-টেক শেষ করে কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন । ২০১৮ পরীক্ষায় পাশ করেন। ২০১৯ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন । ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি করা হয় ।