তাঁকে বাংলায় পাঠানো হয়েছিল নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে (Hashkhali) নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ঘটনাটা ঠিক হয়েছে, তা পরিবারের থেকে শুনে বিজেপির (Bjp) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে (J P Nadda) জানানো। কিন্তু শুক্রবার নদিয়ার হাঁসখালিতে গিয়ে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে এখন বিতর্কে বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতি এবং সাংসদ রেখা বর্মা (Rekha Varma)। এই ব্যাপারে মাথায় রাখতে হবে নির্যাতিতা নাবালিকাও।
হাঁসখালিতে বসে বিজেপি নেত্রীর এই বেফাঁস মন্তব্যের পরেই গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করতে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অন্যন্যা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই ঘটনা খুব দুর্ভাগ্যজনক। মেয়েটির নাম বলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিজেপি নেত্রী রেখা বর্মাকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অন্যন্যা। তবে রেখা বর্মাই নন, এর আগে হাঁসখালির নির্যাতিতার ছবি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
আরও কড়া রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্ত্রিমা ভট্টাচার্যের সুর। তাঁর মতে, বিজেপি কী করছে, তা বিজেই বলতে পারবে। শুক্রবার হাঁসখালি গিয়েছিল বিজেপির মহিলা নেত্রীদের নিয়ে তৈরি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল। রেখা বর্মা ছাড়া ওই দলে ছিলেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, তামিল অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর, তামিলনাড়ুর বিজেপি বিধায়ক ভানাথি শ্রীনিবাসন। সেখানেই নির্যাতিতার নাম মুখে আনেন রেখা। নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার জানান, এই ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। রেখার মতো মুখে কুলুপ বিজেপিরও।