আজ, শুক্রবার মালবাজার (Malbazar) যাচ্ছে বিজেপির (BJP) ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল । সকালেই মালবাজারে পৌঁছনোর কথা রয়েছে তাঁদের । দশমীর (Dashami) রাতে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় আচমকা হড়পা বানে ভেসে যান অনেকে । প্রাণ হারান ৮ জন । এটা দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত খুন ? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) । এসবের মাঝে, এদিন মালবাজারে বিজেপি (BJP) তাদের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ।
সূত্রের খবর, ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে (BJP delegation team to visit Malbazar) রয়েছেন বিধায়ক দীপক বর্মন, সাংসদ জয়ন্ত রায়, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি প্রেসিডেন্ট বাপি গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক পুনা ভেংরা, বিধায়ক কৌশিক রায়, বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়, বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় । জানা গিয়েছে, এই পর্যবেক্ষক দল মালবাজারের মাল নদীর ধারে যাবে, যেখানে দশমীর রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ।
আরও পড়ুন, Jalpaiguri News : মাল নদীতে দুর্ঘটনার জের, পুজোর কার্নিভাল বাতিল জলপাইগুড়িতে
মালবাজারের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে । বিজেপি ছাড়াও বাকি বিরোধী দলগুলিও প্রশ্ন তুলছে । প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলছেন তাঁরা । সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রশ্ন তুলেছেন অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া নিয়ে । কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর কটাক্ষের সুরে বলেন, "এ বাংলায় মৃত্যু তো ছেলেখেলা ।" সুকান্ত মজুমদারের টুইট করে লেখেন, ‘এটা কি নিছকই কোনও দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত খুন? বালি ও পাথর মাফিয়াদের সাহায্য করতে তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম বাঁধ। যার কারণেই এই ঘটনা?’
তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ পাল্টা আক্রমণ করেছেন । তিনি বলেন, “গাছপালার অধ্যাপক নদী বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলে তা হলে খুব সমস্যা ।" তাঁর প্রশ্ন “যখন বারবার মাইকিং করা হয়েছে যে জল বাড়ছে উঠে আসুন, তখন কেন কথা শোনা হল না?”
উল্লেখ্য, ধবার রাতে জলপাইগুড়ির মালবাজার (Jalpaiguri Mal Flash Flood) এলাকায় মাল নদীতে বিসর্জন চলছিল । মায়ের ভাসান দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় করেছিলেন অনেকেই । কিন্তু, সেইসময় হঠাৎই নদীর জল ফুলে ফেঁপে ওঠে । কিছু বুঝে ওঠার আগেই হড়পা ভানে ভেসে যান বহু মানুষ । এছাড়া, মাঝ নদীতে চড়ায় আটকে রয়েছে বহু মানুষ । স্থানীয় সূত্রে খবর, আচমকা পাহাড় থেকে জল নেমে এসে এই ঘটনা ঘটেছে ।