এসি ঘরে বসে সংগঠন করা যায় না। সংগঠন করতে হলে মাঠে নেমে কাজ করতে হয়। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিজেপির দিকে এই তোপ সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। পাল্টা গোলা হিসাবে জবাব ফিরিয়ে দিল গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবি, শাসকদল তৃণমূলের চাপের কার্যত আত্মসমর্পণ করলেন অর্জুন। দিলীপের দাবি, একপ্রকার বাধ্য় হয়েই তৃণমূলে যেতে হল অর্জুনকে।
বিজেপিতে গিয়েই তিনি সাংসদ হয়েছিলেন। রবিবার ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলে যোগ দিয়ে এই দাবি করেছেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। একইসঙ্গে অভিযোগ করেছেন বিজেপি ফেসবুকে থাকা একটি পার্টি। যার সঙ্গে কোনও জনসংযোগ নেই।
পাল্টা জবাবে দিলীপ বললেন, ‘‘আমরা যদি ফেসবুকে রাজনীতি করি, তা হলে আমাদের ২০০ কর্মী খুন হলেন কী করে? উনি তৃণমূল ছাড়ার পর ওঁর বিরুদ্ধে একশোরও বেশি কেস হয়েছে। উনি কি ঠান্ডা ঘরে বসে কেস খেলেন? দলবদল রাজনীতির একটা অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কেউ আগে যান, কেউ একটু দেরি করে। আসলে অর্জুন চাপে পড়ে চলে গিয়েছে। ওঁর একাধিক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর হয়তো আর লড়াই করা সম্ভব ছিল না। প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না তাই আত্মসমর্পণ করেছেন।’’