জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ৩৭ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়েছে। তারপর সোমবার সকাল থেকে তাঁদের অনশন মঞ্চে যোগ দিয়েছেন সিনিয়ার চিকিৎসকদের একাংশ। ২৪ ঘণ্টা তাঁরা অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে এদিন সকালে ধর্মতলায় বায়োটয়লেট বসানোর অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
RG কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে প্রায় দু মাস ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘদিন কর্মবিরতির পথেও হেঁটেছেন। কিন্তু পুজোর ঠিক আগেই কর্মবিরতির পথ থেকে সরে এসে আমরণ অনশন করবেন বলে জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে ৬ জন ওই অনশনে সামিল হন। পরে রবিবার রাত থেকে RG কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতও অনশন শুরু করেন।
এদিকে সোমবার সকাল থেকেই অনুশন মঞ্চে বসানো হয়েছে CCTV ক্যামেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, অনশন কর্মসূচির স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই CCTV বসানো হয়েছে। সেই ফুটেজ সকলকে দেখানোরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সিনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন কর্মসূচিকে সমর্থন জানাতেই তাঁরা অনশন শুরু করেছেন। ধর্মতলাতেই প্রায় ১৫ জন সিনিয়র চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশন করবেন।
সোমবার সকালে জানা গিয়েছে, অনশনরত চিকিৎসকদের রক্তচাপ এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রয়েছে। শরীরে তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি।
শনিবার থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য। কারা অনশনে বসবেন, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সর্বসম্মত ভাবেই, দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবিদাওয়া পূরণে এর বিকল্প কোনও রাস্তা ছিল না। রাজ্য সরকার তাঁদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এবং টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠকের পরেও সরকারি হাসপাতালগুলিতে CCTV ক্যামেরা বসানো সম্পন্ন হয়নি। এমনকি নিরাপত্তা নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন উঠছে। সেই কারণেই কর্মবিরতি ছেড়ে অনশনের পথে জুনিয়র ডাক্তাররা।