এখনও দগদগে মাল নদীর হড়পা বানের স্মৃতি। দশমীর দিন ৮টি পরিবার হারিয়েছে তাঁদের প্রিয়জনদের। তবে তারপরেও ফের শনিবার দেখা গিয়েছে একই দৃশ্য। প্রাণহানি না হলেও ভেসে গিয়েছে বহু দোকান। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কেন বারবার ওই একই জায়গায় ঘটছে এই ঘটনা। প্রশাসনিক অব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলছেন সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশবিদরাও।
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ নদীতে নাব্যতা বলে আর কিছু নেই। জয়ন্তী, ডিমডিমা, তিতি বাংরি-সহ বেশিরভাগ নদী খাত প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই আর জল ধরে রাখার ক্ষমতা থাকে না নদীগুলির। স্থানীয়দের মতে, ডুয়ার্সে হড়পা বান নিয়মিত ব্যাপার। আর বেশি বৃষ্টিতে জলে উঠে আসে রাস্তায়। কারণ হিসেবে পরিবেশবিদরা বলছেন, ভুটানের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ নদীপথে বয়ে এসে জমা হয় এখানে। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিংয়ের অভাবে ক্রমশ ভরাট হচ্ছে নদীখাত। কমেছে নাব্যতা। এর পাশাপাশি, বোল্ডার চুরিও একটা বড় কারণ বলেই মত নদী বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
আরও পড়ুন- Flash Flood in Mal River: সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের মাল নদীতে হড়পা বান, ভেসে গেল বেশ কিছু দোকান
ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী থেকে বড় বড় পাথর, বোল্ডার পাচার হয় বাংলাদেশে। ফলে জলের গতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় বাড়ছে এই ধরনের দুর্ঘটনা। বহু জায়গায় অবৈজ্ঞানিকভাবে মিল গড়ে তোলা হয়েছে। নদীর নিজস্ব গতিপথ আটকে বানানো হয়েছে বাঁধ। সবকিছুর ফলস্বরূপ প্রায়শই দেখা দিচ্ছে হড়পা বান। এমনটাই মনে করছেন নদী বিশেষজ্ঞ থেকে পরিবেশবিদরা।