কীভাবে খুন হলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভাদু শেখ (Vadu Sheikh) (cctv footage)? সোমবার রাতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। খুনের সেই মুহূর্তে ঠিক কী হয়েছিল? ফুটেজ বলছে, সেদিন রাতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বসে ভাদু শেখ আড্ডা দিচ্ছিলেন। দুটি বাইকে করে চারজন দুষ্কৃতী আসে। সঙ্গে সঙ্গেই বোমাবাজি শুরু হয় এবং ওই দুষ্কৃতীদের মধ্যে থেকেই একজন গুলি করে। যেখানে ভাদুকে খুন করা হয়েছিল, তার সামনেই একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে এই ঘটনা ধরা পড়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজটি আরও সহজ হবে তদন্তকারী অফিসারদের জন্য।
ইতিমধ্যেই ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অনেকেই, তবে সিসিটিভি ফুটেজটি হাতে আসতে এত দেরি কেন, সেই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, Rampurhat Genocide: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেল বগটুইয়ের আক্রান্তরা
রামপুরহাটের ঘটনায় (Rampurhat case) শুরু থেকেই পুলিশি গাফিলতির একটি অভিযোগ উঠছিল। বার বার পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
ভাদু শেখের মৃত্যুর পর উত্তাল হয়ে ওঠে রামপুরহাট। ভাদুর মৃত্যুর পরবর্তী অশান্তির জেরে পুড়িয়ে মারা হয় বগটুই গ্রামের ১০ জনকে।
স্থানীয় বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। ঠিক এক বছর তিন মাস আগে, ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি খুন হয়েছিলেন ভাদুর ভাই বাবর শেখ। তিনিও সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। বগটুই গ্রামের কবরস্থানের কাছে খুন হন বাবর। তাঁর মোটরবাইক আটকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল।
বাবর এক সময় ট্রাক্টর চালাতেন। পরে রামপুরহাট শহরের এক মুরগি ব্যবসায়ীর গাড়িও চালাতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু তাঁর দাদা ভাদু বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হওয়ার পর থেকে ঠিকাদারি এবং দাদার বিভিন্ন ব্যবসা দেখভাল করতেন বাবর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদুর এই নানা ব্যবসা নিয়েই তাঁর সঙ্গে অন্য একটি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব শুরু হয় দীর্ঘ দিন আগেই। অভিযোগ, সেই আক্রোশ গিয়ে পড়ে বাবর এবং ভাদুর উপর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভাদুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল ওই এলাকারই বাসিন্দা পলাশ শেখ, সোনা শেখ, লালন শেখ, সঞ্জু শেখ, মহি শেখ, হানিফ শেরা, চেরা শেখরা। যাদের বিরুদ্ধে বাবরের মতো এ বার ভাদুকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।