তৃণমূলে ফের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। এবার প্রকাশ্য জনসভায় অপর এক তৃণমূল নেতাকে তিরস্কার করতে দেখা গেল ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে। যদিও এর পরেই বিরোধীদের দাবি, আরাবুল ভাঙড়ে যে কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন, এই ঘটনা থেকেই প্রকাশ পাচ্ছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভাঙড়ের এক তৃণমূল নেতাও জানিয়েছেন, আরাবুলকে আর ভাঙড় তৃণমূলের একচ্ছত্র নেতা বলা যায় না।
রবিবার ভাঙড়ের বিধানগঞ্জের একটি দলীয় সভায় বক্তব্য রাখেন আরাবুল। তখন তিনি স্থানীয় তৃণমূলেরই নেতা শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আরাবুলের বক্তব্য, তাঁর সভায় সদস্যদের যেতে নিষেধ করছেন শরিফুল। এর পরেই কটাক্ষ করেন ISF নেতা রাইনুর হক। বিরোধীদের অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, আরাবুলের ক্ষমতা যে ধীরে ধীরে কমছে তা এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। কারণ তাঁর সভায় যেতে নিষেধ করার ক্ষমতা কারোরই ছিল না।
তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, " ২০০৬ সালের আরাবুল এবং ২০২৩ সালের আরাবুলের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। দলীয় রাজনীতিতে যে ভাবে তাঁর অবনম অবনমন হয়েছে তাতে আরাবুলকে ভাঙড়ের একচ্ছত্র নেতা বলা যায় না।"
২০১৫ সালের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল থেকে ছ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল আরাবুলকে। দলের একাংশের দাবি, তখন থেকেই ধীরে ধীরে আরাবুলের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। এমনকি, রেজ্জাক মোল্লা সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিলে ২০১৬ সালে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেটাও খুব একটা মেনে নিতে পারেননি আরাবুল। কারণ, আরাবুল ও রেজ্জাকের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না।