গরুপাচার কাণ্ডের সঙ্গে এবার জড়িয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা কীভাবে টেট না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন! তা জানতে চেয়ে তাঁকে তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। ডাকা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও পাঁচ জনকেও। তাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। এদিকে সুকন্যার ফেসবুক প্রোফাইল অনুযায়ী, একসঙ্গে দুটি চাকরি করতেন সুকন্যা। একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি।
সুকন্যার একটি 'আনভেরিফায়েড' ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। সেই অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালেই দুটি চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। প্রথমে তিনি যোগ দেন বীরভূমের 'ভোলে বাবা রাইস মিল' নামে একটি সংস্থায়। পরে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে। কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টে বুধবার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বিষয়টি জানান। তা শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে আদালতে ডেকে পাঠান সুকন্যা মণ্ডলকে। এদিন সকাল নটা নাগাদ বোলপুর থেকে রওনা দেন সুকন্যা।
কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। হাই কোর্টে আইনজীবী ফিরদৌস জানান, স্কুলের রেজিস্টার খাতা অনুব্রতের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাজিরা নিয়ে আসতেন একজন। অনুব্রতের আরও পাঁচজন ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয় চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: জোড়া চাকরি করতেন সুকন্যা! সরকারি স্কুলের পাশাপাশি কাজ করতেন চালকলেও
প্রসঙ্গত, বুধবার তদন্তের জন্য সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি সুকন্যা। তিনি জানান, কথা বলার মতো পরিস্থিত নেই তাঁর।