গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের আয়ের পরিমাণ দেখে কার্যত চোখ কপালে আয়কর দফতরের আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে বীরভূমের কেষ্ট এবং তাঁর পরিবারের আয় বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। এখন প্রশ্ন একটাই, এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় রাখতেন কেষ্ট? সম্প্রতি CBI এর চার্জশিটে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, অন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের ‘কালো টাকা’ রাতারাতি সাদা করে ফেলতেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।
দীর্ঘ চার্জশিটের ১১ নম্বর পাতায় উল্লেখ রয়েছে, সোনাঝুরির একটি হোমস্টের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে কো়টি কোটি টাকা রাখতেন কেষ্ট। অনুব্রত প্রাক্তন এক ব্যাঙ্ককর্মীকেও এই কাজে লাগাতেন বলে রয়েছে উল্লেখ। কখনও সেই ব্যাঙ্ককর্মী নিজে বাড়ি বয়ে এসে নিয়ে যেতেন অনুব্রতর কোটি কোটি টাকা, কখনও বা কেষ্টর ড্রাইভার টাকা পৌঁছে দিয়ে আসতেন ব্যাঙ্কে।
প্রসঙ্গত, আয়কর দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে অনুব্রতর রোজগার ছিল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭ টাকা। ২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষে যা বেশ খানিকটা বেড়ে হয় ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬০৪ টাকা। ২০১৫-১৬ সালে আশ্চর্যজনক ভাবে যা বেড়ে হয় ১৫ লক্ষ ২০ হাজার ৫৯ টাকা। আর এর পর থেকেই কার্যত উল্কারগতিতে বেড়েছে অনুব্রতর আয়। যা ২০২১-২২ সালে গিয়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ১ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৪ টাকা। শুধু তাই নয় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার সম্পত্তিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
আরও পড়ুন: গত ৯ বছরে উল্কার গতিতে আয় বেড়েছে অনুব্রতর, এক বছরে সুকন্যাই আয় করতেন কোটি টাকা
২০১৮ এর শেষ তিন মাস থেকে ২০২২ পর্যন্ত কয়েক দফায় ওই ব্যাঙ্ক কর্মীকে প্রায় ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন অনুব্রত। পরে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা অনুব্রতর পরিবারকে পাঠিয়ে দেওয়া হত, এভাবেই সকলের চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরপথে কালো টাকা ‘ফর্সা’ করে ফেলতেন বীরভূমের কেষ্ট।