গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের প্রথম রাত কাটল ইডি অফিসেই । ডিনার করলেন রুটি,সবজি ও স্যুপ দিয়ে । ইডি সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে । উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধেবেলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি । তারপর সুকন্যাকে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । পরে সেখান থেকে ফের দিল্লির ইডি অফিসেই ফিরে আসেন তিনি । প্রবর্তন ভবনেই রাত কাটান অনুব্রত কন্যা । বৃহস্পতিবার তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হবে । সূত্রের খবর, তাঁকে পাঁচদিনের হেফাজতে চাইতে পারেন ইডি আধিকারিকরা ।
জানা গিয়েছে, বুধবারই ইডি অফিসে হাজিরা দেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা । ইডি আধিকারিকদের জেরার সম্মুখীন হন তিনি । ইডি সূত্রে খবর, এবার ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেও জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেননি সুকন্যা । সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় । জানা গিয়েছে, সুকন্যাকে গ্রেফতারির পর ইডি অফিসে এসেছিলেন তাঁর এক বান্ধবী । মূলত,
কেষ্টকন্যার জামাকাপড় পৌঁছে দিতেই প্রবর্তন ভবনে যান তিনি ।
ইডি সূত্রে খবর, গরুপাচার মামলায় সুকন্যার নামে একাধিক লেনদেনের নথি পেয়েছে ইডি। অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট মনীশ জৈনকে জেরা করেও একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বুধবার বিপুল সম্পত্তি নিয়ে সুকন্যাকে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু, ইডির দাবি, তিনি সহযোগিতা করেননি । ইডি সূত্রে খবর, এবার অনুব্রত ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে । এদিকে, সুকন্যার গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক চাপ বলে মনে করছেন কুণাল ঘোষ ।
কুণাল ঘোষের দাবি, ইডি ও সিবিআইয়ের অনেক যোগ্য অফিসাররা আছেন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের চাপ নয় তো। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে বলেই গ্রেফতার। সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে যদি ইডির কাছে তথ্য-প্রমাণ থেকে থাকে, তা হলে গ্রেফতার না করেও তদন্ত করা যেত। এমনই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।