একটা পাল্টা প্রশ্ন। তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল ইঙ্গিত। গত এক বছরে লাগাতার বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। কিন্তু শুক্রবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তাঁদের দিকেই। “এভাবে কি কোনও নির্বাচিত সরকারকে ফেলা সম্ভব?” রাজনৈতিক মহলের দাবি, বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি যে খারিজ করে দিয়েছেন অমিত শাহ, তা তাঁর প্রশ্নেই স্পষ্ট। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি খারিজের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দেন অমিত শাহ। একজন লড়াকু রাজনীতিক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদাহরণ রূপে তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর মতো লড়াই করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা শাহের।
প্রায় একবছর পর বাংলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাকিয়ে ছিলেন, তাঁর বার্তার দিকে। বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি এরআগেও খারিজ করেছিলেন তিনি। এবারও এই ব্যাপারে একই ধারা বজায় রাখলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলতেই বারবার রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উঠেছে। কিন্তু সেই কৌশলকে যে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না অমিত শাহ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের উপর কিছুটা ক্ষুন্ন শীর্ষ নেতা? একাধিক ভোটে খারাপ ফলাফলের জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের উদাসীনতাকেই কি দায়ী করছেন দিল্লির নেতারা? সে কারণেই কি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে শাহের মতবিরোধ?
বঙ্গ রাজনীতিতে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, সেই বার্তাও শুক্রবার বাংলা ছাড়ার আগে রাজ্য বিজেপির নেতাদের দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। আর এখানে কর্মীদের সক্রিয় হতে তিনি উদাহরণ হিসাবে তুলে এলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লড়াইকে। মনোবল না হারিয়ে নতুন করে শূন্য থেকে শুরু করার টোটকা শাহের। বিজেপি নেতৃত্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয়। বারবার তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বঙ্গ বিজেপি সেভাবে টুইটারকে প্রচারের মাধ্যম হিসাবে কাজে লাগাতে পারছে না বলেও দাবি অমিত শাহের।