গত এক বছরে জ্বালানির দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। তারপরেও বাংলার বাজার স্থিতিশীল বলেই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। জেলা সফরে যাওয়ার আগে সোমবার মূল্যবৃদ্ধি রুখতে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে হাজির ছিল টাস্ক ফোর্স, কৃষি বিপণন দফরতও। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কোল্ড স্টোরেজে আলু ফেলে রাখা যাবে না। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আলু বাজারে আনতে হবে। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, কেন বাঁধা কপির দাম ৫০ টাকা ? কেন দিনের পর দিন বাড়ছে মুরগি মাংসের দাম ? এই বৈঠকেও কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। একইসঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের চাষিদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। সব্জি গাড়িতে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে মরিয়া এখন সরকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাইকারি বাজারে শীতের মরশুমের সব্জির দাম দেখে তিনি একটু বিস্ময়ই প্রকাশ করেন। সেই কারণেই প্রশ্ন তোলেন বাঁধা কপি, সিম ও পালন শাকের দাম নিয়ে। একইসঙ্গে বিভিন্ন জেলায় যে শাক তৈরি হয়, তাও বাজারে আনতে নির্দেশ দেন।
রাজ্যের চাষিদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে এদিনের বৈঠকে বার বার জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিশেষ করে আলুর দাম আকাশ ছোঁয়া হচ্ছে কেন, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রয়োজনে চাষিদের থেকে সরাসরি আলু কিনে সুফল বাংলার স্টলে তা বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ, কোল্ড স্টোরেজে আলু ফেলে রাখা যাবে না। বাংলার চালের পাশাপাশি বাংলার আলু খেতে হবে। উত্তরপ্রদেশের আলু খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।