বাইরন বিশ্বাসের দল বদলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের কাজিয়া প্রকাশ্যে। সোমবার এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি দল ভাঙানোর অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। চ্যালেঞ্জ করেছেন এক মাঘে শীত যাবে না। তার পাল্টা জবাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তর, বোতাম টিপলেই চার জন সাংসদ ছুটে আসবে। তৃণমূল দল ভাঙাতে চায় না। চাইলে বাইরন বিশ্বাসকে মুর্শিদাবাদেই তৃণমূলে যোগ করিয়ে নিতে পারত। কিন্তু বাইরনের তৃণমূলে যোগ দেওয়াকে স্বতস্ফূর্ত বলেই দাবি করেছেন অভিষেক।
রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি তৃণমূলের অন্দরে দাবি, প্রায় তিন পর সাগরদিঘি ফিরে পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে। এরজন্য পুরো কৃতিত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্য বলেই দাবি তৃণমূলের একাংশের। কারণ, সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রের ভোটে বিরোধী জোটের কাছে হেরে গিয়েছিল শাসক দল। সাগরদিঘি মডেলকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোট জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু অভিষেকের কৌশলে সেই স্বপ্ন আপাতত ধাক্কা খেল।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে অভিষেক জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে বাম-কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূল এই ষড়যন্ত্র রুখবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাইরনে তৃণমূলে যোগ জেলায় আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটকে ফিরে পেতে সুবিধা হবে। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনাকে অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।