পুজোর আবহে ছাদনাতলায় টেলি অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায় । মনের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সফর শুরু করলেন । বৃহস্পতিবার রাতেই চার হাত এক হয়েছে রূপসা ও সায়নদীপের । গত বছরই আইনি বিয়ে সেরেছিলেন । দেবীপক্ষে হল মালাবদল । সিঁদুরে রাঙা হল রূপসার সিঁথি । ইতিমধ্যেই তাঁদের বিয়ের ছবি ভাইরাল । কনের সাজে রূপসাকে মোহময়ী লাগছিল । চোখ সরাতে পারবেন না আপনিও ।
এক কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল রূপসা আর সায়নদীপের । তারপর সেই আলাপ জমে বন্ধুত্বে । পরে তাতে লাগে প্রেমের রং । এবার তাঁদের প্রেম পরিণতি পেল । গত কয়েকদিন ধরেই রূপসা-র সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ভরে গিয়েছে প্রি-ওয়েডিং ফটোশুটে । কখনও ট্র্যাডিশন পোশাকে, কখনও ওয়েস্টার্ন লুকে রোম্যান্টিক ছবি পোস্ট করেছেন । চুটিয়ে আইবুড়োভাত খেয়েছেন দু'জনে । অপেক্ষা ছিল সেই স্পেশ্যাল দিনটার । তার আগের অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান । মেহেন্দি, সঙ্গীত থেকে আইবুড়োভাত...জীবনের স্পেশ্যাল মুহূর্তগুলি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রূপসা । প্রত্যেক অনুষ্ঠানেই নজর কেড়েছেন রূপসা । কিন্তু, বিয়ের দিন কনের সাজে রূপসার দিক থেকে চোখ সরানো যাচ্ছিল না ।
৩ অক্টোবর অর্থাৎ মহালয়ার পরের দিনই ছিল ডি-ডে । জোকার কাছে এক ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল বিয়ের আসর । বিয়ের সকালে কখনও সাদা লাল পাড়ের শাড়িতে, কখনও লাল হলুদ বেনারসিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । তবে, কনের সাজে চিরাচরিত লাল নয়, মেরুন রঙের বেনারসি বেছে নিয়েছিলেন রূপসা । মাথায় টায়রা টিকলি, শোলার মুকুট, চন্দনের সাজ, গা ভর্তি গয়না...একেবারে যেন লাজে রাঙা বউ । অন্যদিকে সায়নদীপ পরেছিলেন তসরের পঞ্জাবি। আর রূপসার সঙ্গে রং মিলিয়ে পরেছিলেন মেরুন ধুতি ।
একে একে মালাবদল, শুভদৃষ্টি, সাতপাঁক তারপর সিঁদুর দান...ঘনিষ্ঠ-আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন রূপসা ও সায়নদীপ । বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন টলিজগতের তারকারাও । চাঁদের হাট বসেছিল রূপসার বিয়েতে । মেনুতে নাকি বাঙালি, চাইনিজ থেকে কন্টিনেন্টাল সব ধরনের পদ ছিল । ঘরোয়া ভাবে বউভাত হবে বলে জানা গিয়েছে । বিয়ের পর দিন কয়েকের ছুটিতে সিকিম ঘুরতে যেতে পারেন নবদম্পতি ।
বিয়ের আগে পর্যন্ত জোকায় বাবা-মা-র সঙ্গেই থাকেন রূপসা । তবে, শ্বশুরবাড়ি সালকিয়াতে । বিয়ের পর দু বাড়ি মিলিয়েই থাকবেন । এছাড়া নিজেদের আলাদা ফ্ল্যাটও কিনেছেন । কিছুদিন আগেই গৃহপ্রবেশও সেরেছেন ।
ধারাবাহিকে সাধারণত খল চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে রূপসা-কে । সিরিয়াল ছাড়াও বেশ কয়েকটি ওয়েব সিরিজে চুটিয়ে কাজ করেছেন । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘তানসেনের তানপুরা’, ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’। অন্যদিকে, সায়নদীপ পেশায় কর্পোরেট কর্মী । অভিনয় ও কর্পোরেট জগতের এই যুগলবন্দী হোক চিরকালীন । এডিটরজি বাংলার তরফ থেকে সায়নদীপ ও রূপসা-কে একরাশ শুভেচ্ছা ।