স্টিভ স্মিথ।
নামটা শুনলেই মনে হয় সারদিনে যেন আর আউট করা যাবে না। বাইশ গজের মধ্যে ছটফট করবেন। ব্যস্ত রাখবেন প্রতিপক্ষের বোলারকে। আর অনায়াসে সেঞ্চুরি করে চলে যাবেন। কিন্তু জানেন কি জীবনের বাইশ গজে ভালবাসার সুইংয়ে আউট হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক।
ফ্ল্যাশব্যাকে সময়টা ছিল ২০১১। মেয়েটার নাম ড্যানি উইলিস। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়াটারপোলো খেলেন। এমন এক নারীকে দেখে ধকধক করেছিল স্মিথের দিল। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর নীবিরতা থেকে প্রেম। এক সাক্ষাৎকারে স্মিথ জানিয়েছেন, ড্যানি তাঁর সবচেয়ে বড় সমালোচক। তাঁর ব্যাটিংয়ের কোনও ভুল হচ্ছে, কখন কোন সময়ে তাঁর ব্যাটিং ঠিক করতে হবে, সবটাই নিখুঁত ভাবে বলে দেন ড্যানি।
স্টিভ তখন নিজের কেরিয়ার নিয়ে চরম ব্যস্ত। পড়াশোনা এবং তাঁর নিজস্ব কাজ নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে ড্যানির। তার মধ্যেও সাত বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন এই দু’জনে। ২০১৮ সালে ড্যানিকে বিয়ের কথা বলেছিলেন স্মিথ। তাঁর পিছনেও ছিল অনেক নাটক।
সেইসময় সদ্য মার্কিন মুলুকে অ্যাথলিট মার্কেটিংয়ের কাজ শুরু করেছেন ড্যানি। হঠাৎ একদিন নিউইয়র্কে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন স্মিথ। আর হাজির হয়েই ড্যানিকে চমকে দিতে ফোন। স্মিথের ফোন পেয়ে যেন একটু অবাকই হয়েছিল ড্যানি। এক বসন্তের সন্ধ্যায় দু’জনে দেখা করেছিলেন রকফেলার সেন্টারে। আর সেই সন্ধ্যাতেই ড্যানিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্মিথ।
২০১৮ সালে প্রেম পরিণত হয়েছিল বিয়েতে। ড্যানিকে নিয়ে সুখের সংসার শুরু স্টিভের। অজি মিডিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্মিথের উক্তি, তাঁর জীবনে দু জন বন্ধু। একজন বিরাট কোহলি। অন্যজন ড্যানি উইলিস। এই দু জনই তাঁর ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ভক্ত এবং বড় সমালোচক।
কী ভাবে হয়েছিল স্টিভ-ড্যানির বিয়ে ?
অস্ট্রেলিয়ার খুবই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বড় হওয়া দু জনের। একজন ছোট থেকেই দামাল। ক্রিকেট তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। আর একজন ছোট থেকেই মেধাবী। স্কুল থেকে কলেজে ভাল ছাত্রী বলেই পরিচিত। এহেন স্টিভ এবং ড্যানির চার হাত এক হয়েছিল ছিমছাম ঘরোয়া পরিবেশে। হাজির ছিলেন মাত্র কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে স্টিভ-ড্যানির জুটিকে লাভিডাভি জুটি বলেই ডাকা হয়। আর সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যায় তাঁদের আদুরে ছবি। একদিনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন স্টিভ স্মিথ। খেলবেন টেস্ট ম্যাচ আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। একদিনের ক্রিকেট থেকে স্মিথের এই সন্ন্যাস নিয়ে ড্যানির মন্তব্য, ও ভাল বুঝেছে, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।