২০১২ সাল । সুটিয়ার প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে । মাঝে কেটেছে ১১ বছর । কিন্তু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর থেকে আজ, আবারও একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে বরুণ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ড । কারণ, বরুণ বিশ্বাসের পরিবারের অভিযোগ ছিল, খুনের জন্য দায়ী জ্যোতিপ্রিয়-ই । তাই বালু-র গ্রেফতারির পর থেকে যেমন নতুন করে বরুণ বিশ্বাসের প্রসঙ্গ উঠছে, তেমনই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত 'প্রলয়' ছবিটিও । কিন্তু, ১০-১১ বছর পর কেন বিষয়টা উঠে আসছে, তা বুঝতে পারছেন না পরিচালক রাজ । গোটা ঘটনায় হতবাক বরুণ বিশ্বাসের চরিত্রে অভিনয় করা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও ।
প্রলয় সিনেমা নিয়ে বরুণের দিদি প্রমীলা-র বক্তব্য, সিনেমাতে তাঁর ভাইকে ঠিক ভাবে দেখানো হয়নি । রাজ চক্রবর্তীর কথায়, বরুণ বিশ্বাসের লড়াইটা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল । সেই অনুপ্রেরণা থেকেই ছবি বানিয়েছিলেন । পরবর্তীকালে আবারও বরুণ বিশ্বাসদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে এরকম আরও সিনেমা তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ । উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না পরিচালক । এখন তিনি পরিচালকের পাশাপাশি বিধায়ক, রাজনীতির মানুষও । তবে, দু'টোই আলাদা সত্তা । রাজের কথায়, "এক জন পরিচালক হিসাবে আমার মধ্যে আগামী দিনে ছবির বিষয়বস্তু নির্বাচনে কোনও পক্ষপাত কাজ করবে না। কিন্তু একই সঙ্গে আমার দলের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেটাও আমাকে দেখতে হবে।" তবে, দশ বছর আগে তৈরি একটি ছবির সঙ্গে এখন অহেতুক রাজনীতি জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি ।
একই বক্তব্য পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়েরও । কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করেননি পরম । তবে তাঁর একটাই বক্তব্য, ছবিটা করার সময় শুধু বরুণ বিশ্বাসের ইতিহাস জানতেন। কিন্তু এর সঙ্গে কারা যুক্ত বা কারা দায়ী, তা নিয়ে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না । দশ বছর পর কেন এই বিষয়টা নতুন করে উঠে আসছে, এই মুহূর্তে সেটাও তিনি জানেন না ।