ডি- ডে নিয়ে কত দিন আগে থেকে ছিল কত প্রস্তুতি, কত আয়োজন। অবশেষে তাঁরা এখন মিস্টার অ্যান্ড মিসেস। বিয়ে সারা পরিণীতি চোপড়া-রাঘব চড্ডার। উদয়পুরে, রাজার শহরে একেবারে রাজকীয়ভাবেই হয়েছিল বিয়ের সব আয়োজন।
তবে রূপকথার এটাই শেষ পাতা নয়, বরং জুড়ল নতুন অধ্যায়। তাজ লেক প্যালেস থেকে রাঘব এলেন নৌকো করে লীলা প্যালেসে, পরিণীতির পাণিপ্রার্থী হয়ে। তারপর চারহাত এক হল।
চলতি বছরের শুরু থেকেই জল্পনা ছিল, বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া, আর আপ সাংসদ রাঘব চড্ডার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। কখনও রেস্তোরাঁয়, কখনও বিমানবন্দরে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল তাঁদের। পাপারাৎজিদের কাছে খোলসা করছিলেন না রাগ নীতির কেউই, আবার অস্বীকারও করছিলেন না। অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করলে শুধু মিষ্টি হাসতেন। তারপর এল মে'র ১৩। খোলাখুলি জানালেন সম্পর্কের কথা, বাগদানের কথা। সাড়ে চার মাসের মাথায় সে সম্পর্ক পেল মধুর পরিণতি। পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে বাকি জীবনটা একসঙ্গে পথ চলার শপথ নিলেন রাঘব-পরিণীতি।
বলিউডে অভিনয়ের পাশাপাশি গানের জন্যেও বেশ নাম পরিণীতির। হাসি খুশি মিষ্টি স্বভাবের জন্য তাঁর জনপ্রিয়তাও বেশ। অন্যদিকে রাজনীতি জগতে খুব অল্প বয়সে পরিচিতি পেয়েছেন রাঘব, রাজ্যসভার কনিষ্ঠতম সাংসদ হয়েছেন। সব মিলিয়ে রাঘব-পরিণীতির বিয়ে যে হতে চলেছে দেশের অন্যতম হাইভোল্টেজ বিয়ে, সেটুকু আঁচ পাওয়া গিয়েছিল আগেই।
একটু একটু করে অপেক্ষা- ফুরোচ্ছিল, আজ বিয়ে সারা। না, নটে গাছ মুড়লো না মোটেই, বরং জল-হাওয়া পেয়ে বেড়ে ওঠার পালা। মিয়াঁ বিবির নতুন জীবনের জন্য রইল একরাশ শুভেচ্ছা।