কঙ্গনা রানাওয়াতের ছবি 'ইমার্জেন্সি' নিয়ে আইনি জট কাটছে না কিছুতেই। ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। কিন্তু, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের ছাড়পত্র মেলেনি। এই নিয়েই বম্বে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল ছবি নির্মাতাদের পক্ষ থেকে। বুধবার, বম্বে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সিবিএফসি-কে শংসাপত্র জারি করার ব্যাপারে আদেশ দিতে তারা অপারগ। কারণ, সেটি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের আদেশের পরিপন্থী হবে।
উল্লেখ্য, ছবি নির্মাতাদের দাবি, সেন্সর বোর্ড নির্বিচারে, বেআইনি ভাবে আটকে দিচ্ছে ‘ইমার্জেন্সি’র ছাড়পত্র। সেই কারণে মু্ক্তি পাচ্ছে না ছবিটি। এমনই অভিযোগ তুলেই বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ছবির নির্মাতারা। বম্বে হাই কোর্টে বিচারপতি বিপি কোলাবাওয়ালা এবং ফিরদোস পুনিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছিল।
এই ছবিতে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭, জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাপর্বও। ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ছবিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। শিখ সম্প্রদায়কে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে ছবিতে এবং বিকৃত করা হয়েছে ইতিহাস, এমন অভিযোগও ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে দিল্লির শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির তরফে সেন্সর বোর্ড ও কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ছবিটির প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে, ছবিটি মুক্তি পেলে হিংসা ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
গত বছরই 'ইমার্জেন্সি' মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছবির মুক্তি পিছিয়ে যায়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের মুখে আবারও পিছিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পাবে বলে ঠিক হয়। এখন বিতর্ক বম্বে হাইকোর্টের রায়ের পর ছবিটি কবে মুক্তি পাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।