অবশেষে অপেক্ষার অবসান। আজ বাজারে আসছে বহু প্রতীক্ষিত জীবন বিমা নিগমের (LIC) ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (IPO)। সরকারি সূত্রে খবর, আজ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আইপিও কেনাবেচা চলবে। কিছু বিনিয়োগকারী অবশ্য গত ২ মে থেকে এই সুবিধা ভোগ করেছেন। আজই এই ব্যাাপারে সেবি (Securities and Exchange Board of India) মারফত বরাদ্দ শেয়ারের পরিমাণ-সহ আইপিও সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও জানাবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, শেয়ার বাজারে নাম নথিভুক্ত করে জীবন বিমা নিগম এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শেয়ার বাজারে নিয়মিত বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি পলিসি হোল্ডাররাও এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার কিনতে পারবেন। পলিসি হোল্ডারদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড়ও। খুব স্বাভাবিক ভাবে লাভজনক এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার কিনতে অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন। কিন্তু দেশের বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী সংস্থা সতর্ক বলেছে, এলআইসি শেয়ার কতগুলি বিষয় বিনিয়োগকারীদের মাথায় রাখতে হবে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শক্তিশালী উপস্থিতি নেই। তাদের পলিসির বেশির ভাগ বিক্রি হয় এজেন্টের মাধ্যমে এবং প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেন এজেন্টরাই। বিমা সংস্থারই দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মাত্র ৩৬ শতাংশ পলিসি হোল্ডার ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রিমিয়াম দেন। সেই তুলনায় বেসরকারি সংস্থাগুলির প্রায় ৯০ শতাংশ প্রিয়িয়াম দেওয়া হয় নেটমাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে যদি এই পদ্ধতি বজায় থাকে তবে এলআইসি-র সামগ্রিক ব্যয় বাড়তে থাকবে।
এদিকে বাজারে আসার আগে, এলআইসির আইপিও (LIC IPO) নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। কংগ্রেসের (Congress) প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলছেন, এভাবে এলআইসির শেয়ার বেচে ৩০ কোটি গ্রাহকের আত্মবিশ্বাস এবং ভরসার সঙ্গে আপস করছে বিজেপি (BJP)। যদিও, গত শুক্রবার জীবন বিমা নিগমের ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ মোহান্তি জানিয়েছিলেন, আইপিও আনতে সংস্থার আইন সংশোধিত হলেও ৩৭ নম্বর ধারাটি বদলায়নি। কাজেই পলিসিহোল্ডাররা বিমার টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি গ্যারান্টি পাবেন। তবে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিবদ্ধ হলেই সাধারণ লগ্নিকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির ন্যূনতম পরিমাণ মেনে চলার যে নিয়ম বাকি সংস্থাগুলিতে প্রযোজ্য, এলআইসি-কে তার থেকে রেহাই দিতে চায় সরকার।