পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। এই চারটে দিনের অপেক্ষায় সারাবছর দিন গোনে বঙ্গবাসী। অবশেষে দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে শারদীয়া। থিম এবং সাবেকিয়ানার ছোঁয়ায় সারা বাংলা জুড়ে সেজে উঠবে অসংখ্য পুজো মণ্ডপ। এতসবের মধ্যেও, কলকাতার দুর্গাপুজোর এক অন্য জনপ্রিয়তা রয়েছে।
কলকাতার ও শহরতলীর দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় কেষ্টপুর প্রফুল্লকানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দ। প্রতিবছরই থিমের ছোঁয়ায় নতুন নতুন ভাবনা তুলে ধরেন এই পুজোর শিল্পীরা। এবার ২২তম বছরে পা রাখল এবারের দুর্গাপুজো। এবার প্রফুল্লকাননের থিম হল ‘একান্ন’। এবছর মণ্ডপ গড়ে উঠছে সম্পূর্ণ ইঁট, বালি, পাথর, সিমেন্টে। কংক্রিটের মণ্ডপ এই বারোয়ারির প্রথম আকর্ষণ।
তবে থিমের নাম ‘একান্ন’ দেওয়ারও বেশ কয়েকটি কারণ আছে। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “একান্ন শব্দটিকে থিম হিসাবে বেছে নেওয়ার পিছনে কয়েকটি কারণ আছে। সংখ্যায় ৫১ ও শব্দে একান্ন। প্রথমত সংখ্যায় ৫১ অর্থাৎ মানব শরীরের একান্নটি অংশ, আবার সতী মায়ের ৫১ পিঠ। অপর দিকে আবার একান্ন, অর্থাৎ এক+অন্ন।”
এই সমস্ত বিষয়কেই একই মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে সিমেন্টের বিরাট বিরাট মূর্তি। প্রতিমাও তৈরি হয়েছে সিমেন্ট দিয়েই। শহরে কোনও বিল্ডিং বা মেট্রো রেলের কাজের সময়ে কংক্রিটের যে অবশিষ্টাংশ ফেলে দেওয়া হয়, সেগুলিকেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলে মণ্ডপ তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে। এর আগে এই ভাবনার কাজ কলকাতায় হয়নি। বৃষ্টি বাদলাতেও খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই মণ্ডপ।
কীভাবে যাবেন এই মণ্ডপে?
ভিআইপি রোড পেরিয়ে প্রফুল্লকানন রোড ধরে হাঁটলে মণ্ডপে পৌঁছতে লাগবে মিনিট দশেক সময়। এবারের পুজো হপিং-এর ম্যাপে এই প্যান্ডেল রাখতে ভুলবেন না।