আকাশে বাতাসে প্রেম প্রেম হাওয়া, তারউপর ভরা ফাগুন। আর এমন ফুরফুরে সময়ে একেবারে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিনে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে জিতু এবং শ্রাবন্তীর ‘বাবু-সোনা’ । এসকের ব্যানারে কমার্শিয়াল প্রেমের ছবি, এডিটরজি বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল ছবির প্রিমিয়ারে বিজলি সিনেমাহলে। অংশুমান প্রত্যুষ পরিচালিত এবং অশোক ধনুকা ও হিমাংশু ধনুকা নিবেদিত ‘বাবুসোনা’ নিয়ে প্রত্যাশা যতটা রটল, ততটা ঠিক ঘটল না।
টলিউডের তাবড় দুই অভিনেতা অভিনেত্রী, প্রথমবার জুটি বাধঁলেন বটে, শ্যুটিং-ও হল লন্ডনে কিন্তু তাঁদের রসায়ন কেমন যেন একটু ছাড়াছাড়া। তার থেকে বরং বেশি জমিয়ে দিল পায়েল সাগ্নিকের জুটি। তবে পাওনা তো আছেই। অনেকদিন পর কমার্শিয়াল গানে শ্রাবন্তীর রকমারি এক্সপ্রেশন-পুরোনো দিনের কথা মনে করাবেই। শ্রাবন্তীর চুল উড়তেই হলের এপাশ ওপাশ থেকে ভেসে এল সিটির আওয়াজ। কোথাও কোথাও কাতুকুতু দেওয়ার চেষ্টাও হল, কিন্তু দমফাটা হাসির শব্দ পাওয়া গেল না দর্শক আসন থেকে।
সাগ্নিক পায়েলের ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শিশু শিল্পী বিলাস দে। পুচকের সঙ্গে শ্রাবন্তী জিতুর খুনসুটি বেশ মজার। তাঁকে কিডন্যাপ করা নিয়েই বাঁকে বাঁকে এগিয়েছে ছবি। পুরো ছবিতে একজনের কথা না বললেই নয়, তিনি আলেকজান্দ্রা টেলর। তাঁর স্ক্রিনটাইমে চোখ সরানো যায়নি। পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।
একথা ঠিক যে কমার্শিয়াল ছবিতে ‘লজিক’ খুঁজতে যাওয়া বোকামি। কিন্তু চিত্রনাট্য একটু বাস্তবসম্মত হতে পারতো বোধহয়। তবে প্রেমের দিনে যুগলে পাশাপাশি বসে , হাতে হাত রেখে এই ছবি দেখলে আনন্দ যে পাবেন তা বলাই বাহুল্য। চোর-কিডন্যাপারের মাখো মাখো প্রেম পপকর্ন খেতে খেতে জমে যাবে ভালই।
‘অপরাজিত’তে জিতুকে দেখার পর তাঁকে ঘিরে দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল বেজায়, অন্যদিকে শ্রাবন্তীও জাত অভিনেত্রী। তাঁদের বোধহয় আরেকটু অন্যভাবে ব্যবহার করা যেত। সংলাপ থেকে চিত্রনাট্যের বাঁধন আরেকটু আঁটসাঁট হতে পারত। তবে ছবির মাঝে নানা চমক, আর ক্লাইম্যাক্স মন্দ নয়।