২১৫ কোটির আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডির চার্জশিটে (Enforcement Directorate) অভিযুক্ত তালিকায় নাম রয়েছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) । এমনটাই খবর ইডি (ED) সূত্রের। সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে গত কয়েক মাসে বারবার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন জ্যাকলিন (Jacqueline Fernandez) । জুন মাসের শেষেও ইডির ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন সুকেশের ‘গার্লফ্রেন্ড’ জ্য়াকলিন।
ইডি সূত্রের দাবি, তদন্তে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে যে, জ্যাকলিন (Jacqueline Fernandez) জানতেন সুকেশ একজন তোলাবাজ। জেনেবুঝেই এই তোলাবাজির টাকায় যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কিনতে চলেছেন ইলন মাস্ক? টেসলার মালিকের টুইটে জল্পনা নেটিজেনদের মধ্যে
সুকেশের থেকে অনেক বার বহুমূল্য ‘উপহার’ পেয়েছেন অভিনেত্রী। ইডির জেরায় তা স্বীকারও করেছেন জ্যাকলিন। জ্যাকলিনকে (Jacqueline Fernandez) এই মামলায় বেশ কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি গোয়েন্দারা। তাঁর দেশ ছেড়ে বেরোনোর উপরেও রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা।
গত বছরই অফ ক্যামেরায় শিরোনামে উঠে এসেছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrasekhar) সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা এবং আরও ২০টি আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়ানোয় দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দি ‘ঠগবাজ’ চন্দ্রশেখর।
জ্যাকলিনের সঙ্গে এই সুকেশের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রানুসারে, সেই সময় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত ছিল চন্দ্রশেখর। ইডি সূত্রে এও জানা গিয়েছিল, চেন্নাইয়ে চারবার সাক্ষাৎ হয় জ্যাকলিন ও চন্দ্রশেখরের। অভিযোগ, সুকেশের হাতে যে আইফোন ১২ রয়েছে, তা দিয়েই তিনি ইজরায়েলের সিমকার্ডের সাহায্যে প্রতারণা করছিলেন।