১ এপ্রিল বললেই যেটা মনে পড়ে সেটা হল এপ্রিল ফুল (April fool's Day)! না না এ ফুল সে ফুল নয়। এ নিছক বোকা (Fool) বানানোর দিন। অন্যকে বোকা বানিয়ে মজা উপভোগের দিন ১ এপ্রিল। আর যাঁরা বোকা বনে যান, তাঁদেরকেই বলে এপ্রিল ফুলস। দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে সারা বিশ্বে। যদিও এই দিনের সূচনা নিয়ে নানা তথ্য রয়েছে।
সবচেয়ে প্রচলিত মতানুসারে, দিনটি প্রথম পালিত হয়েছিল ১৮৫২-তে। ওই বছরই ফ্রান্সে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে চালু হয়েছিল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার (Gregorian Calender)। রোমানরা প্রাচীন কালে এপ্রিল মাসে নতুন বর্ষ উদযাপন করত। মধ্যযুগের ইউরোপে ২৫ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল সপ্তাহভর নতুন বছর উদযাপনের রেওয়াজ ছিল। ১৮৫২-তে পোপ অষ্টম গ্রেগরি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করেন। এরফলে নতুন বছরের শুরু হয় জানুয়ারি থেকে। ফ্রান্স সবার আগে এই কযালেন্ডার গ্রহণ করে। কিন্তু ইউরোপের বহু মানুষই এই ক্যালেন্ডার মেনে নেয়নি এবং এ সম্পর্কে জানতও না। পুরানো প্রথা অনুসারে তারা নতুন বছর পালন করতেন মার্চের শেষে।এঁদেরকেই বলা হতো এপ্রিল ফুলস।
এপ্রিল ফুলস ডে উপলক্ষ্যে কিছু লোককথাও রয়েছে- তেমনই এক লোককথা বলে, অনেক দিন আগে গ্রিসের এক রাজা একদিন রাতে স্বপ্ন দেখলেন যে, একটা পিঁপড়ে তাঁকে আস্ত গিলে ফেলছে। সকালে ঘুম ভেঙে ওই স্বপ্নের কথা মনে পড়তেই হাসিতে ফেটে পড়েন তিনি। সেই দিনটা ছিল ১ এপ্রিল। ওই দিন থেকেই শুরু হল এপ্রিলের প্রথম দিনে অন্যকে বোকা বানিয়ে মজা উপভোগ করার প্রথা।
অন্য আরেকটি উপকথা রয়েছে স্পেনের এক রাজাকে নিয়ে। রাজা ঘোষণা করলেন, যে সবচেয়ে বেশি 'সত্যি করে মিথ্যে' লিখতে পারবে, তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে। একটি মেয়ে এসে বলল, "রাজামশায়, আমি বধির ও অন্ধ। আপনার রাজপ্রসাদের বাইরে যে গাছটা রয়েছে, তা আপনি দেখতে পান, কিন্তু আমি পাই না"। এমন চমৎকার মিথ্যে বলার জন্য মেয়েটিকে পুরষ্কৃত করলেন তিনি। আর ঘোষণা করলেন, প্রতিবছর ১ এপ্রিল ফুলস ডে হিসেবে পালন করা হবে।