গত ২৯ অগাস্ট নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে IC814-দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক। নাসিরুদ্দিন শাহ, পঙ্কজ কাপুর, বিজয় ভার্মা, অরবিন্দ স্বামী, দিয়া মির্জার মতো স্টার কাস্টদের নিয়ে এই সিরিজের পরিচালনা করেছেন অনুভব সিনহা। মুক্তির পরেই এই সিরিজ ঝড় তুলেছে। ১৯৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের এই বিমানকে। অমৃতসর থেকে লাহোর, সেখান থেকে দুবাই হয়ে কান্দাহারে এই বিমানকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল হরকত-উল-মুজাহিদিনের পাঁচ জঙ্গি।
মুক্তির পরেই এই সিরিজ ঝড় তুলেছে। এবার বিতর্কের মুখে পড়তে হল। অভিযোগ তথ্য বিকৃতি করার। ওই বিমানের চালক দেবী সারনের সঙ্গেই এই ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছিলেন বাঙালি সাংবাদিক সৃঞ্জয় চৌধুরী। প্রকাশিত হয়েছিল ফ্লাইট ইনটু ফিয়ার নামের সেই বই। সেই বই থেকেই নেওয়া হয়েছে এই সিরিজের চিত্রনাট্য।
অভিযোগ, সিরিজে দুই জঙ্গির নাম বলা হয়েছে ভোলা এবং শঙ্কর। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়াকে সমন পাঠাল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক। এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের কাছে এই ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ এসেছে। তার ভিত্তিতেই নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার প্রধান মনিকা শেরগিলকে সমন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দাবি, ২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি একটি বিবৃতি পেশ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যেখানে কান্দাহারের বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত পাঁচ জঙ্গির নামও প্রকাশ করা হয়। এই ঘটনার পিছনে ছিল ইব্রাহিম আতহার, শাহিদ আখতার, আহমেদ কাজি, জাহুর ইব্রাহিম এবং সাকির। সেই সময় এই ঘটনা কভার করা অনেক সাংবাদিকও সিরিজের নাম নিয়ে আপত্তি তুলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক।
১৯১ জনকে নিয়ে কাঠমাণ্ডু থেকে দিল্লি আসছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের এই বিমান। ওড়ার পাঁচ মিনিটের পরেই তা হাইজ্যাক হয়ে যায়। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, বিমান ছিনতাইকারীদের সঙ্গে টানা দর কষাকষি চলে ভারত সরকারের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নির্দেশে মাসুদ আজহার, আহমেদ ওমর শেখ এবং মুস্তাক আহমেদ জারগার নামের তিন জঙ্গিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, জঙ্গিদের পরিচয় গোপনের অভিযোগ করে এই সিরিজের বিরুদ্ধে প্রথম টুইট করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর অভিযোগ ছিল, সিরিজের মধ্যে থ্রিলার আনতে দুই জঙ্গিকে হিন্দু নাম দেওয়া হয়েছে। এবং তার জন্য পরিচালক অনুভব সিনহার জবাব দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা।