তৃণমূলের কোনো নেতা দাবি করছেন, মার্জিন হবে ৫০ হাজারের বেশি। কোনো নেতার দাবি আরো বেশি। অন্যদিকে, লোকসভার ফলের দিকে তাকিয়ে অঘটনের প্রত্যাশা করছে বিজেপি৷ কী হতে পারে ভবানীপুরের ফল? রেকর্ড মার্জিনে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? নাকি অঘটন ঘটাবে বিজেপি? অপেক্ষা আর মাত্র দিন দু'য়েকের।
তার আগে একবার চোখ রাখা যাক ভবানীপুরের পরিসংখ্যানে।
২০১১ সালে পালাবদলের নির্বাচনে প্রার্থী হননি মমতা। তিনি তখন সাংসদ। সেই নির্বাচনে ৪৯ হাজার ৯৩৬ ভোটে সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন সুব্রত বক্সী।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর উপনির্বাচনে প্রার্থী হন মমতা। মার্জিন আরো বাড়ান তিনি। জয়ী হন ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে।
২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে মমতার বিরুদ্ধে ওজনদার প্রার্থী দিয়েছিল বিরোধীরা। বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি ব্যবধান অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে আনেন। ২৫ হাজার ৩০১ ভোটে জেতেন মমতা।
২০২১ সালে, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে প্রার্থী হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ভোটে হারান তিনি।
এ তো গেল বিধানসভার ছবি। লোকসভার ছবিটা কিন্তু অন্য রকম।
২০১৪ সালে ভবানীপুরে ১৭৬ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। বেড়েছিল তৃণমূলের রক্তচাপ।
২০১৯ সালেও ভাল ফল করে গেরুয়া শিবির। মাত্র ৩,১১৮ ভোটে পিছিয়ে ছিল তারা।
এবার অপেক্ষা আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার। কী ভাবছে ভবানীপুর, জানা যাবে রবিবার বেলা গড়ানোর আগেই।