আগামী বছর বাংলায় বিধানসভার ভোট। তার আগে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজনৈতিক মহলের ইঙ্গিত, আগামী বছরের ভোটকে মাথায় রেখে কল্পতরু হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কর্মচারীরা তাকিয়ে রয়েছেন তাঁদের ডিএ বৃদ্ধির দিকে।
তার আগেই অবশ্য আগামী শনিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থনীতিবিদদের মতে, এবার সীতার বাজেটে চমক থাকবে, এমনটা কিন্তু মনে হচ্ছে না। কারণ, ২০২৪ সালে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় সবাই মনে করেছিলেন, পূর্ণাঙ্গ বাজেটে হাত খুলবেন নির্মলা। কিন্তু তিনি নিজের ঝাঁপি চেপেই রেখেছিলেন।
এবার তিনি হাত খুলবেন ? তাঁর থেকে কী চাইছে কলকাতা ? সেই খোঁজ নিতে রাস্তায় বেরিয়েছিল এডিটরজি বাংলা। সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন আমাদের দুই প্রতিনিধি উৎসব রায়চৌধুরী এবং অদিতি মজুমদার। নির্যাস হল, সোনার উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ। কলকাতা চায় সোনার দামে বেরি পড়ান নির্মলা।
কারণ, মাঘ-ফাল্গুন মাস জুড়ে বিয়ের মরশুম। আর তার মধ্যে যে ভাবে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের। পেট্রোল-ডিজেলের দামেও জিএসটি চায় এই শহর। পণ্যের দামবৃদ্ধি রুখতে কলকাতা মনে করে, তেলের দামে জিএসটি বসালেই তা রোখা সম্ভব হবে।
যুব সমাজ জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ না দিয়ে, নির্মলার বাজেট প্রস্তাবে রাখা উচিত বিভিন্ন সরকারি স্করালশিপ। তাঁরা চান হোটেলে খাবারে জিএসটির প্রকোপ কমিয়ে দামকে আরও সস্তা করা। একইসঙ্গে শহরের বেশ কয়েকজন গৃহবধূ জানিয়েছেন, কর কাঠামো এক রাখা উচিত। কারণ, সংসার চালাতেও তাঁদের বাজেট করতে হয়। বছরের শেষে তাঁদের হাতে কোনও রসদ থাকে না।
সবমিলিয়ে শনিবার সংসদে বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে কলকাতার দাবি, মধ্যবিত্তের দিকে নজর দেওয়া উচিত। কারণ, এই দেশের মেরুদণ্ড এখনও সোজা রয়েছে এই সমাজের উপরেই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উচিত, করে ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দেওয়া।