আর ৭২ ঘণ্টার পর ফের ভোট বঙ্গে।
লড়াই এবার কলকাতা পুরসভায়। বুধবার গোয়া থেকে ফিরে তার প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার প্রার্থীদের জন্য ফুলবাগানে
তাঁর প্রথম জনসভায় একদিকে কাউন্সিলরদের কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, ভোটে জিতলে আগামী সময়ে কলকাতার পুরসভা কোন পথে চলবে, তার রূপরেখাও
কার্যত এদিন ঠিক করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের ভোটেও ‘খেলা হবে’, বিজেপিকে তোপ মমতার
এদিনের জনসভায় মমতার সাফ বার্তা, স্থানীয় সমস্যা দেখতে হবে কাউন্সিলরদেরই। যাঁরা দেখতে পারবেন না, তাঁরা কাউন্সিলর হবেন না। প্রচার মঞ্চ থেকে
কাউন্সিলরদের কড়া বার্তা দিলেন তিনি। তিনি বলেন, “যারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের বলে যাই, আমি কাউকে কিছু বললে বকার জন্য বলি না। সংশোধন করার
জন্য বলি। পাড়ায় জল জমেছে, জল নেই। এটা দেখার কাজ কাউন্সিলরদের। যে দেখতে পারবেন না, কাউন্সিলর হবেন না।” এ প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে
ধরেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানান, একদিন গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। কয়েকজন গাড়ির সামনে বলেন, জলের পাইপ খারাপ হয়ে গিয়েছে। জল পাচ্ছি না। তিনি এলাকার কাউন্সিলরকে ফোন করে জানতে চান, কেন জল পাচ্ছে না? এটা কাউন্সিলরের কাজ। এরপরেই তিনি বলেন, ‘দেখুন, এবার ওকে টিকিট দিইনি।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, কাজ না করলে ভোটের টিকিট দেবে না তৃণমূল।
সিন্ডিকেট নিয়েও এদিনের সভায় ফের সতর্ক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “আমার এলাকায় ঘরবাড়ি করবে, এত দিতে হবে এটা হবে না। আসতে আসতে সব
অনলাইনে হয়ে যাবে। বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম কোথা থেকে কিনবে, কাউন্সিলর ঠিক করে দেবে না।” ইতিমধ্যে নির্বাচনী ইস্তেহারে কলকাতাকে আরও সুন্দর করার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। এই জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, তাঁরা যা বলেন, তাই করে দেখান। কারণ, কুৎসা করে বাংলাকে রোখা যাবে না। তাঁর প্রতিশ্রুতি ২০২৪
সালের মধ্যে শহরের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁচ্ছাবে পুরসভার জল। আর তারজন্যেই ধাপায় তৈরি হচ্ছে জল প্রকল্প। এমনকী কলকাতায় জল কর দিতে হয় না, সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৈরি হবে টালা থেকে ডানলপ নতুন ব্রিজ। রেশন, স্বাস্থ্যের মতো বিদ্যুৎ-ও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনামূল্যে পাবেন কলকাতার পুর
অঞ্চলের বাসিন্দারা।