ভোট হচ্ছে আমেরিকায়। নজর রাখছে দিল্লি। ওয়াশিংটনের কুর্সি কার, তার ঠিক হয়ে যেতে পারে আর অল্প সময়ের মধ্যে। সাত সুইং স্টেটের আগে কমলা হ্যারিসের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতের কাছে এবারের আমেরিকা নির্বাচন অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ভোটের ফল প্রকাশের আগে বেশ সতর্ক দিল্লি।
গত এক দশকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং অস্ত্র ব্যবসার ক্ষেত্রে আরও কাছাকাছি এসেছে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। কূটনৈতিক মহলের মতে, মসনদে যারাই আসুক না কেন, দিল্লি তাদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েই রাখবে।
গত ১০ বছরের বেশি সময় যুদ্ধ করেনি আমেরিকা। এরমধ্যে উপমহাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে চিনের প্রভাব। দিল্লির কাছে যা উদ্বেগের। তাই, চিনা প্রতিরোধ ঠেকাতে বরাবর বন্ধু হিসাবে আমেরিকাকে পাশে চেয়েছে ভারত। এশিয়ার বাজার ধরতে দিল্লিকে সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন।
কূটনৈতিক মহলের মতে, দিল্লির অপেক্ষা এই ভোটের পর কী প্রভাবের দিকে। কারণ, দিল্লি চায় এই ভোটের পরেই পড়শি বাংলাদেশের আশু সমস্যা সমাধানে ভূমিকা নিক আমেরিকা। সসম্মানে শেখ হাসিনাকে ঢাকাতে ফেরত পাঠাতে চায় দিল্লি। সেই কারণে, মোদী সরকার তাকিয়ে ওয়াশিংটনের দিকে।