হই হই করে দুর্গা পূজার পাঁচ দিন কাটতে না কাটতেই বাড়িতে শুরু হয়ে যায় কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড়। কিন্তু দশমী, বিজয়ার প্রণাম, মিষ্টিমুখ, এসবের মাঝে লক্ষ্মী পুজোর প্রস্তুতি নেওয়ার সেভাবে সময় পাওয়া যায় না।
ধন সম্পদের দেবী হওয়ায় বিভিন্ন মন্দির ছাড়াও লক্ষ্মীর বরে সৌভাগ্য ফেরাতে ঘরে ঘরে এই পুজো করা হয়। কেউ ঘরোয়া ভাবে পুজো করেন। কেউ আবার পুরোহিত ডেকে পুজো করেন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে দেখা যায় জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক আচার অনুষ্ঠান। এক একটি বাড়িতে এক একটি রীতি মেনে এই পুজো করা হয়। কিন্তু যেভাবেই পুজো করুন কয়েকটি জিনিস ছাড়া লক্ষ্মী পুজো একেবারেই সম্ভব নয়।
লক্ষ্মী পুজোর কী কী জিনিস থাকা প্রয়োজন ?
- ধন সম্পদের দেবী হওয়ায় লক্ষ্মী পুজোয় প্রয়োজন হয় ধানের শিস। ধানের শিস ছাড়া কোনও ভাবেই লক্ষ্মীপুজো সম্ভব নয়।
- ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে লক্ষ্মীর পুজোয় ধান ছাড়াও টাকা, স্বর্ণ মুদ্রা,পান, কড়ি, হলুদ, পাঁচ কড়াই, ঘট, একসরা, আতপ চাল,দই, মধু, গব্যঘৃত, চিনি, চন্দ্রমালা এবং পূর্ণপাত্র ও হরিতকী প্রয়োজন হয়।
- লক্ষ্মী পুজোর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কলার পেটো। কলার পেটো দিয়ে তৈরি নৌকাকে সপ্ততরী বলা হয়। এই তরীকে বাণিজ্যের নৌকা হিসাবে ধরা হয়।
- লক্ষ্মী পুজোয় ভোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্রাহ্মণরা দেবীকে খিচুড়ি ভোগ দেন। অব্রাহ্মণরা ভোগে লুচি এবং সুজি দেন।
- লক্ষ্মী পুজোর আরও একটি বিশেষ উপাদান নাড়ু। নারকেল নাড়ু, গুড়ের নাড়ু অর্পণ করা হয় দেবীর উদ্দেশ্যে।
- রসালো ফল লাগে পাঁচ রকমের।
- এছাড়াও ধূপধানি, পঞ্চ প্রদীপ, প্রদীপ, কর্পূর, ধূপকাঠি, ধুনুচি, বেল পাতা, দূর্বা, ১টি ঘটাচ্ছাদন গামছা, ১টি কুণ্ডহাঁড়ি, ১টি তেকাঠি, ১টি দর্পণ, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চগব্য, পঞ্চরত্ন, ১টি সশিস ডাব, ৪টি তীর, পুষ্প, দুর্বা ইত্যাদি প্রয়োজন হয় লক্ষ্মী পুজোয়।
- এছাড়াও লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে লক্ষ্মীর শাড়ি, নারায়ণের ধুতি, পেচক পুজোর ধুতি, লোহা, শঙ্খ, সিঁদুরচুবড়ি, বালি, কাঠ, খোড়কে, ঘি এক পোয়া, হোমের জন্য ২৮টি বেলপাতা লাগে।