জিনিস পত্রের যে হারে দাম বাড়ছে, তাতে সংসার চালানোই দায়। বাড়ির বাইরে বেরোলে অটোতে, বাসে, দোকানে, অফিসে সবেতেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা। ঠিক কতোটা রোজগার হলে ভাল মতো চলে যায়? এমন কোনও সংজ্ঞা আছে? সম্প্রতি, এক ইনভেস্টরের টুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেই বিনিয়োগকারী বলছেন ভারতে কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ২৫ লক্ষ টাকা হলে, তাঁর পক্ষে সংসার চালানো দায়! এখন ভারতের মতো দেশে জনসংখ্যার ঠিক কত অংশ এই পরিমাণ আয় করেন, তাও একটা প্রশ্ন বটে!
সৌরভ দত্ত টুইট করে, তাঁর মতের যৌক্তিকতা বুঝিয়েছেন অঙ্ক কষেই। বার্ষিক ২৫ লক্ষ টাকা আয়ের অর্থ, মাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লাখ দেড়েক টাকা। তিনজনের সংসারে ইএমআই-ঘরভাড়া সমেত মাসিক খরচের পরিমাণ আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা। ওটিটির জন্য রিচার্জ করা, রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করা, টুকটাক ঘুরতে যাওয়ার খরচ ২৫ হাজার, আর চিকিৎসা খাতে খরচ আরও ২৫ হাজার। ব্যাস, হাত তো এবার খালি। বিনিয়োগ করার জন্য পড়ে থাকল টা কী? সৌরভের মন পোস্ট নিয়ে কম চর্চা চলছে নয়া সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই সৌরভের সঙ্গে একমত। কেউ আবার বলছেন, সন্তানের পড়াশোনায় আরও বেশি খরচ হচ্ছে।
একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক বিশ্ব ব্যাঙ্কের নির্ধারিত হিসেবের দিকে। ওয়র্ল্ড ব্যাঙ্ক বলছে, রোজকার চাহিদা মেটাতে কোনও ব্যক্তির হাতে ২.১৫ মার্কিন ডলারের বেশি থাকলে তাঁকে গরিব বলা যাবে না। ওই টাকায় সে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারবে। ভারতীয় মুদ্রায় হিসেব করলে দৈনিক ১৮০ টাকা ৫৩ পয়সা হয়।
দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে গরিবি সীমা বদলায়। ভারতে গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসকারী ব্যক্তির মাসিক আয় ১০৫৯ টাকা ৪২ পয়সা এবং শহুরে অঞ্চলের ব্যক্তির মাসিক আয় ১২৮৬ টাকার বেশি হলে তাঁকে গরিবি সীমার ওপরে ধরা হয়।