শুরু হয়ে গেছে দেবীপক্ষ। আদ্যাশক্তি মহামায়ার আরাধনায় মেতে উঠেছে বাঙালি। মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গরাজ্য যখন অস্থির, তখনই দেবীশক্তির আরাধনা করেন দেবতারা।
কার্ত্যায়নী মুনির আশ্রমে দেবতাদের তেজ থেকে সৃষ্টি হয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। যুদ্ধের আগে দশভূজা দুর্গার হাতে দশ অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন দেবতারা। এই দশটি অস্ত্র আসলে দশটি গুণের প্রতীক।
দেবরাজ ইন্দ্র দেবীকে দেন বজ্র। যা দৃঢ়তা ও সংহতির প্রতীক। বিষ্ণু দেন সুদর্শন চক্র। যার ফলে বিনাশ ও সৃষ্টির আবর্তে থাকেন দেবী। ব্রহ্মা তুলে দেন পদ্ম। আঁধার সরিয়ে আলোর পথ দেখায় পদ্ম। মহাদেব দেন ত্রিশূল। ত্রিশূলের ত্রিফলা মানুষের তিন গুণের সমন্বয়। সত, রজ, তম। মহাদেবের গলার সাপও থাকে দেবীর হাতে। সাপ শুদ্ধ চেতনা আনে। নেতিবাচক চিন্তা কাটিয়ে মানসিক উত্থান এনে দেয়।
পবন দেব ও সূর্যদেব দেবীকে দেন তির-ধনুক। যা ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। যমরাজ দেবীকে দেন কালদণ্ড। এই অস্ত্র আনুগত্য, ভালোবাসা ও ভক্তির প্রতীক। অনেকে মনে করেন দেবীকে তলোয়ার দেন গণেশ। যা মানুষের বুদ্ধির প্রতীক। তলোয়ারে বৈষম্য ও অন্ধকার ভেদ করা যায়। বরুণদেব দেন শঙ্খ। যা জগতে প্রাণের সৃষ্টি করে। ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত দেবীকে দেন ঘণ্টা। ঘণ্টাধ্বনি অশুভ শক্তির তেজ লঘু করে।