তৃণমূলের জন্য সৎ ও গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তির 'মুখ' খুঁজতে গোটা রাজ্য চষে ফেলছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা। তাঁদের নজরে রয়েছেন একাধিক পোড় খাওয়া বামপন্থী নেতা। সাড়ে তিন দশকের বাম রাজত্বেও যাঁদের গায়ে দুর্নীতির দাগ লাগেনি, এমন নেতাদের দোরে দোরে যাচ্ছেন টিম পিকের সদস্যরা। তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সূত্রের খবর, রেজ্জাক মোল্লা, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের উল্টো পথে হেঁটে ওই সিপিএম নেতাদের অধিকাংশই জানিয়েছেন, তাঁরা মতাদর্শ আঁকড়েই থাকতে চান। এই তালিকায় নতুন সংযোজন রাজ্যের প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী দেবেশ দাস।
সিপিএমের পোড়খাওয়া নেতা দেবেশবাবু দীর্ঘদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। সিপিএমের দাবি, সম্প্রতি তাঁকে ফোন করেছিলেন টিম PK-এর এক সদস্য। দেবেশবাবুকে বলা হয়, তিনি সৎ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ। রাজ্যের স্বার্থে তাঁর উচিত তৃণমূলে যোগ দেওয়া। সিপিএমের কার্যত অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেন ওই টেলিকলার।
টিম PK-এর এ-হেন প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন দেবেশ। তিনি জানান, ওই টেলিকলার ভুল লোককে ফোন করেছেন। দলের শক্তি কমুক বা বাড়ুক, তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শের সঙ্গেই থাকবেই। তাঁর দলবদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। এরপর ওই টেলিকলার ফোন রেখে দেন।
দেবেশ অবশ্য প্রথম নন। সম্প্রতি একাধিক সিপিএম নেতা প্রশান্ত কিশোরের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক লক্ষীকান্ত রায়, জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ মহেন্দ্রকুমার রায়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বনমালি রায় সহ উত্তরবঙ্গের একঝাঁক নেতা। সেই তালিকায় এ-বার দেবেশ দাসের নাম যুক্ত হল।