RG Kar Protest-Durga Puja: মমতা 'উৎসবে ফেরার' পক্ষে, তবু পুজোয় প্রতিবাদেই থাকতে চায় একাধিক পুজো কমিটি

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, হাতে এক মাসও পড়ে নেই। কিন্তু পুজোর মেজাজ এসেছে কি? আরজি করের ঘটনায় কলকাতা তথা গোটা বাংলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। প্রতিবাদ জোরালো হচ্ছে দিনদিন। এই আবহে পুজোর চারটে দিন কেমন কাটবে? সপ্তমী থেকেও দশমী প্রতিবাদেই থাকতে চাইছে বেশ কিছু পুজো কমিটি।

আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর এক মাস অতিক্রান্ত। ঘটনার ৩১ দিনের মাথায় জনসাধারণকে 'উৎসবে ফেরার' বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই আবেদন নিয়ে সমালোচনার বন্যা বয়েছে নানা মহলে। অনেকেই মনে করেছেন আরজি করের ঘটনার রেশ কাটার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এমন মন্তব্য, চূড়ান্ত অসংবেদনশীল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুজোকেই ‘প্রতিবাদের অস্ত্র’ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ভাবনা রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটির।

আরজি কর কাণ্ডে সমস্ত দোষীকে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে মানুষের প্রতিবাদ-মিছিল ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। সব বয়সের, সব পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন প্রতিবাদে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আরজি করে বিচার চেয়ে স্লোগানে ঝড় তুলছেন প্রবাসে থাকা ভারতীয়রা। এমন শম্বয় বাংলায় পুজোর জাঁকজমক উদযাপন আর পাঁচটা বছরের মতো হওয়া উচিত মনে করছেন না অনেকেই।

পুজোয় ৮৫,০০০ টাকা সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে একাধিক ক্লাব। পুজোর দিন কয়েক মণ্ডপেই শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তারাই। পুজো কমিটির সদস্যদের পরনের পোশাকেও ফুটে উঠতে পারে প্রতিবাদ। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা টিশার্ট লেখা টি শার্টের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে বাজারে।

এছাড়া সাধারণ মানুষের তরফেও পুজোর চারটে দিন কী কী ভাবে প্রতিবাদ সংগঠিত করা যায়, সেই নিয়ে পাড়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায়, ঘরোয়া আড্ডায় আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২০-২১ সালে করোনা আবহে এক অন্যরকম দুর্গোৎসবের সাক্ষী ছিল বাংলা। এবারের পরিস্থিতিও আগে কখনও আসেনি।

পুজো বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন অনেকেই। তবে বাংলার অধিকাংশ মানুষ চাইছেন পুজো হোক, শুধু পুজোর জৌলুসে যেন চাপা না পড়ে তিলোত্তমার বিচারের দাবি।