RG Kar news : সিপি-কে সরানোর ঘোষণার পরই ধর্না মঞ্চে উচ্ছ্বাস জুনিয়র ডাক্তারদের, স্লোগানের তালে চলল নাচ

ঘড়ির কাঁটা তখন ১২টা পার করেছে । দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা । তারপরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে । সিপি-র পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানো হচ্ছে । একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকেও অপসারণ করা হচ্ছে । কালীঘাটে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করছেন, সেইসময় স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে উচ্ছ্বাসে মাতলেন জুনিয়র ডাক্তাররা । কখনও স্লোগান উঠল, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', কখনও আবার 'আন্দোলনের জয় হল, স্বাস্থ্যভবন সাফাই হল' । স্লোগানের তালে তালে চলল নাচ । সকলের চোখে-মুখে লেগে ছিল একটা জয়ের আনন্দ সল্টলেক সেক্টর ফাইভে স্বাস্থ্যভবনের সামনে রীতিমতো উৎসবের রেশ ছিল ।

কালীঘাট থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে পৌঁছতেই ফের আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারীরা । তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিন, রাজ্য সরকারের তরফে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি চলবে । তাঁদের আন্দোলনের আংশিক জয় হয়েছে । সেই জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বাসে মাতলেও, তাঁরা তাঁদের অবস্থান বা আন্দোলন থেকে এখনই সরছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ।

আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের দাবি,আন্দোলনকারীদের কাছে নতস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। ৩৮ দিন পর তাঁদের জয় হয়েছে। এই জয় সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, নার্স,সকলের। সবাই পাশে না থাকলে এই জয় সম্ভব ছিল না। সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ।

সাংবাদিক বৈঠকে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ?

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ওঁদের চারটে ডিমান্ড (দাবি) ছিল। প্রথমে ছিল তিন জনকে সরানোর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে সরানোর কথা বলা হয়েছিল। আমরা বোঝালাম, যদি একটা বাড়ি যদি পুরো খালি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসনটা চালাবে কে? শেষ পর্যন্ত ডিএইচএস এবং ডিএমএসকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরানো হচ্ছে সিপি-কে।' উল্লেখ্য, লালবাজারে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছিলেন, তাঁর শীর্ষ কর্তারা যদি পদত্যাগ দাবি করেন, তাহলে তিনি পদত্যাগে রাজি আছেন।

এদিন, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরারও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, "আপনারা প্লিজ় কাজে ফিরুন। বলেছি জুনিয়র ডাক্তারদের। বলেছি, আপনাদের তিনটে দাবি মেনে নিয়েছি। দায়বদ্ধতা দুই পক্ষেরই। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। মানুষের কাছে ডাক্তার ভগবান। তাই আপনারা কাজে ফিরুন।"

এদিকে, মঙ্গলবারই আর জি কর মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে । দেশের শীর্ষ আদালতের কী রায় দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য সরকার, জুনিয়র ডাক্তার থেকে গোটা রাজ্য ।