CM Mamata Banerjee: প্রত্যেকের ওপরই নজর থাকবে তাঁর, মন্ত্রীদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এর আগেও দলের নেতাদের আচরণ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এবার দলের মন্ত্রীদের এবার কড়া বার্তা দিলেন তিনি। জানালেন, প্রত্যেকের ওপরই নজর থাকবে তাঁর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার মূল আলোচনা শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দল বা সরকারের অসম্মান হয়, এমন কোনও কাজ করা যাবে না। পাশাপাশি তিনি জানান, প্রত্যেক মন্ত্রীর ওপর এবার থেকে 'নজর' রাখবেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর গত বৃহস্পতিবার ছিল মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ক্যাবিনেট অ্যাজেন্ডার বাইরে কোনও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকজনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন কয়েকজনকে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার ফলে রাজ্যের প্রত্যেক মন্ত্রীর কাছেই এই বার্তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগেও মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন। কিন্তু তাঁদের আচরণ নিয়ে তেমন জলঘোলা হয়নি। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বিরাট অঙ্কের টাকার হদিশ মিলেছে। ছবিও চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। অন্যদিকে বিরোধীদের আক্রমণ। তাতে শাসক দল ও সরকার যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা মন্ত্রিসভার নতুন ও পুরনো সদস্য, উভয়পক্ষকেই দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দিল্লিতে শাহ-শুভেন্দু বৈঠক, থাকতে পারেন সুকান্ত মজুমদার

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। উনি যা বলছেন, তা আগে ঘরের লোকেদের বলা উচিত। আর যাঁদের বলছেন, তাঁরা সে কথা কানে তুলবে না। চোরে না শোনে ধর্মের কথা।" মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীদের বলেছেন, ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মতো কাজ করা যাবে না। মন্ত্রীদের ঘাড়ে মাথা নেই। না হলে তাঁরা বলতে পারতেন, ভাবমূর্তি তৈরির আসল দায়িত্ব তো ২৯৪টি আসনে যিনি প্রার্থী ছিলেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীর। ভাবমূর্তির ভাল, মন্দ্ বা মাঝামাঝি বা পচে যাওয়া, সব দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে।"