ED raids : অর্পিতা প্রথম নয়, আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইডির অভিযানে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা

শুক্রবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় ইডির অভিযান (Ed Raids) । ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) জিজ্ঞাসাবাদ, মন্ত্রীর গ্রেফতার ...এই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি । শুধু তাই নয়, 'মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ' অর্পিতার (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকরই । সব মিলিয়ে আবাসন থেকে সাড়ে ২২ কোটি টাকা, দেড় কেজি সোনার গয়না, সম্পত্তির দলিল-সহ লক্ষাধিক ডলার মূল্যের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে ইডি । ইডির এই পদক্ষেপে রাজ্যে চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে, টাকা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও ইডি দেশের (ED raids all over India) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে।

জুলাই মাসের শুরুতেই উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলির মোট ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। ‘ভিভো’-(Vivo)সহ অন্যান্য চিনা সংস্থা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে অনৈতিক পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে । স্মার্টফোন সংস্থা শাওমি ইন্ডিয়ার (Xiaomi India) ৫,৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

ভারত ও বিদেশে নীরব মোদির ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে মোট ২,৩৯৬.৪৫ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করেছিল ইডি (ED) । নীরব মোদির নানা সংস্থার উপর ইডি বহু দিন থেকেই নজর রেখেছে। ইতিমধ্যেই ২৫৩.৬২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি উদ্ধার করেছে ইডি। এ ছাড়াও সোনাদানা-সহ ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আমানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, Arpita Mukherjee: আদালতে খারিজ অর্পিতার জামিনের আবেদন, একদিনের হেফাজত পেল ইডি

ইডির নজরদারি থেকে বাদ পড়েননি ৪৪ বছর বয়সি ঝাড়খণ্ডের আইএএস আধিকারিক তথা খনি সচিব পূজা সিঙ্ঘল (Puja Singhal) । তাঁকে ১০০ দিনের মনরেগা প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে গ্রেফতার করে ইডি । নগদ ১৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয় পূজার বাড়ি থেকে। তাঁর স্বামীর বাড়ি এবং অফিস থেকেও ১৭ কোটি ৭৯ লক্ষ নগদ টাকা পায় ইডি।জানা যায়, এই ঘটনার পর রাজ্য সরকার তাঁকে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস থেকে সাসপেন্ড করে।

ঝাড়খণ্ডে অনৈতিক ভাবে খননকার্য চালানো হচ্ছে বহু দিন ধরে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল । ইডির নজরে পড়তেই সাহেবগঞ্জ, মির্জা চৌকি, রাজমহল-সহ ঝাড়খণ্ডের ১৯টি জায়গায় তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা। ইডির দাবি, ১১ কোটি ৮৮ লক্ষ নগদ অর্থ-সহ মোট ৩৬ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আমানত বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

পশ্চিমবঙ্গের রেশমি গ্রুপ সংস্থার বিরুদ্ধে অনৈতিক অর্থপাচারের মামলা দায়ের করে সিবিআই। রেশমি সিমেন্ট লিমিটেড এবং রেশমি মেটালিক লিমিটেড সংস্থা অফিসে তল্লাশি চালায়। ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৯৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাজ্যের ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১.০১ কোটি টাকা পেয়েছেন তদন্তকারীরা।