মহাকাশে বিরাট বিপত্তির মুখে পড়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গী নভোশ্চর৷ তাঁরা যে মহাকাশযানে করে গিয়েছিলেন, তাতে আর মাত্র ২৬ দিনের জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। সেই জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে কী হবে? কীভাবে ফিরবেন তাঁরা?
গত জুন স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যান সুনীতা এবং তাঁর সঙ্গী নভোচারী বুচ উইলমোর। গত ১৪ জুন তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি৷ জানা গিয়েছে, সুনীতাদের মহাকাশযানে ক্রটি ধরা পড়েছে। সেই কারণেই তাঁদের ফেরা হয়নি। এরপর স্থির হয়, নির্ধারিত দিনের ১২ দিন পর, ২৬ জুন রাতে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা। কিন্তু তাও সম্ভবপর হচ্ছে না। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। আশা করা হচ্ছে, ২ বা ৩ জুলাই তাঁদের ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। তবে উদ্বেগ কমছে না।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দুজন হুইসলব্লোয়ার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন৷ তাঁদের দাবি, আগেই সুনীতাদের মহাকাশযানে ত্রুটি ধরা পড়েছিল। সেই কারণেই তাঁদের মহাকাশযাত্রা তিনবার পিছিয়ে যায়।
হুইসলব্লোয়ারদের তোলা আরও মারাত্মক অভিযোগ হল, মহাকাশযাত্রার আগের দিন দেখা যায়, হিলিয়াম গ্যাস ট্যাঙ্কার থেকে লিক হচ্ছে। রকেট ইঞ্জিনিয়ার নোট পাঠিয়ে অভিযান স্থগিত রাখতে বলেন। সে কথা মানা হয়নি। বোয়িং স্টারলাইনার স্পেসশিপে করে মহাকাশে গিয়েছেন সুনীতারা। হুইসলব্লোয়ারদের প্রশ্ন, বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তির কারণেই কি অভিযান স্থগিত রাখেননি নাসার কর্তারা?
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র নিয়ে বহু জটিলতা রয়েছে৷ নয়তো রাশিয়ার পরিকাঠামো ব্যবহার করে ফিরতে পারতেন সুনীতারা। কিন্তু ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষিতে সেই আশা শূন্যের কোঠায়। আপাতত প্রার্থনা করা এবং নাসার উপর ভরসা রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই সাধারণ মানুষের।