বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন! আমেরিকার ৫ নভেম্বর হয়েছে ভোট গ্রহণ। দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টই এবারের নির্বাচনের দুই প্রাধান প্রতিদ্বন্দ্বী। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস। বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে অ্যাবর্শন বা গর্ভপাত ইস্যু। ২০২২ থেকেই গর্ভপাত নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকে। মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সে দেশের বহু প্রদেশেই। এই মুহূর্তে আমেরিকার ১৩টি প্রদেশে গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা জারি, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া। চারটি প্রদেশে ছ’সপ্তাহ পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ, অথচ এই সময়ের মধ্যে মহিলারা নিজেদের গর্ভাবস্থার কথা জানতেও পারেন না, অনেক ক্ষেত্রে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কসভাতেও এই ইস্যুতে মুখোমুখি তর্ক হয়েছিল রিপাবলিকান প্রার্থী এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর। গর্ভপাত নিষিদ্ধ হওয়ার নেপথ্যে ট্রাম্পের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছেন হ্যারিস। অন্যদিকে মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন কমলা হ্যারিস। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মাতৃস্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁর, জানিয়েছেন হ্যারিস।
জনপ্রিয় হলিউড তারকা অ্যানে হ্যাথওয়ে নিজেই জানিয়েছেন, গর্ভপাত ইস্যুতে তিনি কমলা হ্যারিসের পক্ষে। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। মার্কিন ভোটাধিকারপ্রাপ্ত বহু মহিলাই গর্ভপাত আইনের ইস্যুতে ভোট দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট হ্যারিসকে।