ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ার অবস্থা শোচনীয়। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে৷ আহত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে গিয়েছে। ত্রাণ এবং খাবার পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না বহু জায়গায়৷ থমকে থাকছে উদ্ধারকাজ। তার উপর রয়েছে প্রবল শীত। খাবার এবং আশ্রয়ের অভাব কার্যত ফুঁসছেন ভূমিকম্প দুর্গত মানুষজন। সমালোচনার মুখে পড়ছে দুই দেশের সরকার। দুই দেশকে ৮৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভেঙে পড়া বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে উদ্ধারকারী দল গিয়েছে সিরিয়ায়। সেই দেশের সরকার-বিরোধী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজে নেমেছে তারা। কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। তুরস্ক সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলার নীতি আর্ন্তজাতিক স্তরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। ত্রাণকার্যে সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতিও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস ত্রাণ ও খাবারের অপর্যাপ্ততা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে পড়া অনেকে ত্রাণ ও খাবার না পাওয়ার কারণে প্রাণ হারাতে পারেন।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর চারটেয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়া। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। এর ১১ থেকে ১৫ মিনিট পর দ্বিতীয়বার কম্পন অনুভূত হয়। কেঁপে ওঠে সাইপ্রাস, লেবানন, সিরিয়ার বিভিন্ন অংশ। এর তীব্রতা ছিল ৬.৭।