সদ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan) । তাঁর বিরুদ্ধে ১৭৪টি ভোট পড়ে । পতন হল ইমরান সরকারের । এখন প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী (Next Prime Minister of Pakistan) কে হবেন ? শোনা যাচ্ছে, ইমরানের পর পাকিস্তানের গদিতে বসতে পারেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ।
কিন্তু, কে এই শাহবাজ শরিফ ? পুরো নাম মিয়া মহম্মদ শাহবাজ শরিফ । তিনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা মুসলিম লিগের জনপ্রিয় নায়ক নওয়াজ শরিফের নিজের ভাই । পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি । পঞ্জাব প্রদেশে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি । এরপর দাদা নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি । তখন থেকেই ভাইঝি মরিয়াম শরিফকে নিয়ে দল সামলাচ্ছিলেন । ২০১৮ সালের ১৩ অগস্ট তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন ।
আরও পড়ুন, Imran Khan : মধ্যরাতের নাটকে যবনিকা, পাক প্রধানমন্ত্রী পদে অপসারিত ইমরান খান
ইমরান সরকারের পতনের পর শরিফকে অভিনন্দন জানান সদ্য স্পিকারের আসনে বসা আয়াজ সাদিক । এরপরই অ্যাসেম্বলিতে তাঁকে বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করা হয় । ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে, শরিফ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তানে সুদিন ফিরতে চলেছে । তিনি কোনও মতেই বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না । এই ফল পাক জনগণের ইচ্ছেতেই হয়েছে ।
৩৪২ আসনের পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে(Pakistan National Assembly) ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বিরোধীদের দরকার ছিল ১৭২ ভোটের । কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরও ২টি ভোট বেড়ে তা দাঁড়ায় ১৭৪-এ । উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনও প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়নি । ইমরান খান হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁর ভাগ্য আস্থা ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে । তবে, পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী কখনও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেননি ।
জানা গিয়েছে, শনিবার ভোট প্রক্রিয়া শুরুর মুখেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে হেলিকপ্টারে চেপে ইসলামাবাদ ছেড়েছেন ইমরান । রাজনীতিবিদদের মতে, ফলাফল কী হতে চলেছে, তার আন্দাজ আগেই করতে পেরেছিলেন ইমরান । এদিকে, অনাস্থা ভোট শুরু হওয়ার আগেই অ্যাসেম্বলি থেকে তাঁর দলের সংসদ সদস্যরা ওয়াকআউট করেন ।
শনিবার, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে রীতিমতো নাটক চলে । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও রাত ১২টার আগে ভোটাভুটি শুরু করা যায়নি । ইমরান খান নিজেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না । এরপর স্পিকারের পদত্যাগ, নতুন স্পিকার মনোনয়ন, অনাস্থা ভোট সব মিলিয়ে মধ্যরাতে নাটকের যবনিকা পতন হয় ।