রাষ্ট্রসঙ্ঘে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিল আমেরিকা। যা নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে। ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছরের পূর্তি। ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা করেছিল রাশিয়া। আর ঠিক কতদিন চলবে এই যুদ্ধ। এত মানুষের মৃত্যু, নৃশংসতার উৎসব, এর যেন কোনও বিরাম নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘ দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে বার্তা দিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আমেরিকা-রাশিয়া এই যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছে। আমেরিকা দাবি করেছে, খুব তাড়াতাড়ি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্য়ে শান্তি চুক্তি হবে। কিন্তু ওই বৈঠকে ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কিকেও আক্রমণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, কেন এতদিন যুদ্ধ নিয়ে পদক্ষেপ করেননি তিনি। কিন্তু আমেরিকার এই হস্তক্ষেপকে ভাল চোখে দেখছে না রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও ইউরোপের বাকি দেশগুলি। আমেরিকা-রাশিয়ার বৈঠক নিয়ে খুশি নন ন্য়াটো সদস্য়রাও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে প্রস্তাব রাখে আমেরিকা। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের প্রস্তাব শুনেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ইউক্রেন থেকে তড়িঘড়ি সেনা প্রত্য়ার্পণ করার দাবি করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪০টি দেশ রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির সমালোচনা ও নিন্দা করেছে। রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকা-রাশিয়া কেন এত কাছাকাছি আসছে, তা নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশা বাড়ছে।
তিন বছর ধরে যুদ্ধ কমেনি। রাশিয়া যুদ্ধের গতি বাড়িয়েছে। ভৌগোলিক বা রাজনৈতিকভাবে এই যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষ্যণই দেখা যায়নি। বিবিসির তথ্য বলছে, এই তিন বছরে যুদ্ধের বলি হয়েছেন ৯৫ হাজার রাশিয়ান সেনা। যদিও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি দাবি করেছেন, আড়াই লক্ষ রাশিয়ান সেনা এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। জেলেনেস্কি গত ডিসেম্বরে জানিয়েছেন, ৪৩ হাজার ইউক্রেন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। পরবর্তীকালে রাশিয়া জানান তাদের ৬ লক্ষ মানুষ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছে। জেলেনেস্কির মতে, এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। তবে সংখ্যার যুদ্ধও চলতে থাকবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে কিনা, তার দিকে গোটা দুনিয়া।